৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেনে নিন ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার কিছু সাহসী যোদ্ধাদের ভূমিকা

আগস্ট ১৫, ২০২৩ সকাল ০৯:০৯ IST
64daee2d3793d_Screenshot_2023-08-15-08-46-28-34_87dd071a61d3aa2ef6ddc24a836c4632

অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে ব্রিটিশদের অধীনে থাকার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা পায় ভারতবর্ষ। এটাই হতে চলেছে ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস। এদিন দেশের আনাচে কানাচে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। শুধু তাই নয় দেশের বাইরেও হবে স্বাধীনতা দিবসের নানা অনুষ্ঠান। তবে ভারতের কিছু বীর যোদ্ধাদের জন্য আমরা আজ স্বাধীন। আজ স্বাধীনতার এই বিশেষ দিনে জেনে নেওয়া যাক এপার বাংলা এবং ওপর বাংলার কিছু সাহসী যোদ্ধাদের ভূমিকা।

সুভাষচন্দ্র বসুর কথা কে না জানে! এরকম একজন নেতা, এরকম একজন মানুষ পৃথীবির বুকে হয়তো খুবই কম জন্মিয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি এই সংগ্রামে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি নেতাজী নামে সমধিক পরিচিত। সুভাষচন্দ্র পরপর ২ বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা এবং বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুভাষচন্দ্রকে 'দেশনায়ক' আখ্যা দিয়ে তাসের দেশ নৃত্যনাট্যটি তাকে উৎসর্গ করেছিলেন। তার বাণী ' তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব' আজও শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। তিনি আজও প্রতিটি ভারতীয়দের মনে বসবাস করেন।

আমরা ইতিহাসের পাতায় ইলা মিত্রের নাম খুব কমই শুনেছি। একজন নারীবাদী সাহসী নেত্রীকে যেভাবে কল্পনা করে থাকি, ইলা মিত্র ঠিক তেমনি এক প্রতিচ্ছবি। ইলা মিত্র ছিলেন একজন বাঙালী মহীয়সী নারী যিনি কৃষক আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলার তথা পূর্ববঙ্গের একজন কমিউনিস্ট এবং কৃষক আন্দোলনের নেতা। তার মধ্যে ছিল সাহসিকতা এবং হার না মানার মানসিকতা। সাহসিকতার একটি জলজ্যান্তরূপ ছিলেন তিনি। কৃষকদের অধিকারের জন্য তিনি যা করে গিয়েছেন তা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা মাস্টার দা সূর্য সেন এই নামের সঙ্গে সব বাঙালিই পরিচিত। ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা বিপ্লবী। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহররমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সূর্য সেন সরাসরি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হন। বিপ্লবীদের গোপন ঘাঁটি এই কলেজ়ে তিনি অধ্যাপক সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর সান্নিধ্যে আসেন। তিনি যুগান্তর দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূর্য সেনকে তিনি বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন। সূর্য সেন ১৯১৮ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রামে এসে গোপনে বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ৪৯নং বেঙ্গল রেজিমেন্টের নগেন্দ্রনাথ সেন ১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে এসে সূর্য সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী ও চারুবিকাশ দত্তের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সূর্য সেন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অম্বিকা চক্রবর্তী একই থানার পাশাপাশি গ্রামের ছাত্র হিসেবে ছোটবেলা থেকেই পরস্পরের কাছে পরিচিত ছিলেন। নিজের বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের জন্য তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল।১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি মধ্যরাতে সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসী কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারকে ব্রিটিশ সেনারা নির্মম ভাবে অত্যাচার করেছিল। হাতুড়ী দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে অত্যাচার করা হয়। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে নিষ্ঠুরভাবে তাদের অর্ধমৃতদেহ দুটি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দেশকে স্বাধীন করার খাতিরে নিজের গোটা জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তার আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলার একজন প্রখ্যাত লেখক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন নিকুঞ্জ সেন। তবে তিনি শুধু সেই পরিচয় পরিচিত ছিলেন না। নিকুঞ্জ ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভারতে সংঘটিত একাধিক আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি পুলিশের দ্বারা একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তবুও সেইসময় ভয় পেয়ে পিছুপা হয়ে যাননি। পরবর্তীকালে তিনি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বেঙ্গল ভলেন্টিইয়ার্সের সদস্য হয়েছিলেন। তারপর কুমিল্লায় ললিত বর্মনের নেতৃত্বে সেখানকার দলকে আরো শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে তিনি কুমিল্লায় গিয়েছিলেন। কুমিল্লায় তিনি দুজন সহপাঠিকে পেয়েছিলেন, তারা ছিলেন শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী। ১৯৩১ সালে ডিসেম্বর মাসে তারাই কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার স্টিভেন্সকে হত্যা করেছিলেন। ১৯৩০ সালে রয়টার্স বিল্ডিং হামলায় নিকুঞ্জ সেন ঘনিষ্টভাবে সহযোগী না থাকলেও, এই অভিযানের সমস্ত পরিকল্পনা, প্রস্তুতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ত্রিদিব চৌধুরী ছিলেন একাধারে একজন বাঙালী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সাংসদ ও বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতা। দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সুভাষচন্দ্র বসুর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন। চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুন্ঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। বৈপ্লবিক মনোভাব তার বরাবরই ছিল। ১৯৪০ সালে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবি সেন, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, প্রতুল গাঙ্গুলি প্রমুখদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রেভলিউশনারি সোশালিস্ট পার্টি বা বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল গঠন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৯৪০ সালে আবার জেলে গিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি ১৯৫৫ সালে গোয়ার মুক্তি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। আজ তার কথা ইতিহাসের পাতায় কম থাকলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে তার বহু অবদান রয়েছে।

কুন্তল চক্রবর্তী ছিলেন ভারতের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে এর পাশাপাশি তিনি একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন। পূর্ববাংলা থেকে আগত একজন বাঙালী যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি তার লেখার মাধ্যমে তৎকালীন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছিলেন। আজও তার প্রতিটি লেখায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংগ্রামের কথা ফুটে ওঠে। বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের জন্য কারাদন্ড হয় তার। পরবর্তীতে রাজশাহী জেলে কুন্তল চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বিপ্লবী ভূপেন্দ্র কুমার দত্তের। ভূপেন্দ্রকুমার দত্ত নিজেই একজন খ্যাতনামা লেখক ছিলেন। তার লেখা 'বিপ্লবের পদচিহ্ন' ও 'রাজশাহী জেলে তিন বছর' পরিচ্ছেদে বিপ্লবী কুন্তল চক্রবর্তীর কথা বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ভূপেন্দ্রকুমার দত্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দৌলতপুর সত্যাশ্রমের সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তিনি সমাজের কল্যাণের কথা ভেবে গিয়েছিলেন। বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

ভারতের প্রথম মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে পরিচিত প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী, যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অধ্যয়ন শেষ করে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি দূরশিক্ষার সঙ্গে দর্শনে স্নাতক হন, এবং পরবর্তীতে একজন স্কুল শিক্ষকা হন। ১৯৩০ সালে প্রীতিলতা কলকাতার আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাজবন্দি রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে যথাসময়ে তা পালন করেছিলেন তিনি। মাস্টারদা ও প্রীতিলতা একসঙ্গে অনেক বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিগগির পুলিশের জরুরি গ্রেফতারি তালিকায় প্রীতিলতার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। মাস্টারদা তাকে স্কুল ছেড়ে দিয়ে পুরুষ বিপ্লবীদের মতো আত্মগোপন করার নির্দেশ দেন। প্রীতিলতা অপর একজন বিপ্লবী নারী  কল্পনা দত্তসহ গোপন আস্তানায় চলে যান। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতা পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বিমল প্রতিভা দেবী ছিলেন সেই সব সংগ্রামীদের মধ্যে একজন যাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই ভারত স্বাধীনতার মুকুট পড়তে পেরেছে। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং একজন অগ্নিকন্যা। অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদের পাশাপাশি তিনি ছিলেন প্রখ্যাত লেখিকা। বিমলপ্রতিভা দেবী ১৯১৮ সালে প্রথম রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দান করেছিলেন। এরপর তিনি ১৯২৮ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে হওয়া আইন অমান্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনিই ছিলেন নারী সত্যাগ্রহ সমিতির যুগ্ম সম্পাদিকার মধ্যে একজন। এরপর ১৯৩১ সালে হওয়া মানিকতলা ডাকাতি মামলায় বিমলপ্রতিভা দেবীর সহ বহু বিপ্লবীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রায় ৭ বছর পর তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। তিনি নিজের জীবন রাজনীতি এবং স্বাধীনতার কাজে উৎসর্গ করেছিলেন।

প্রমোদরঞ্জন ১৯০৭ সালে ব্রিটিশ অধীগ্রস্ত ভারতের তৎকালীন দুমকা জেলার সাঁওতাল পরগণায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা হর্ষনাথ সেনগুপ্ত যিনি পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন। তার ছোটবেলা কেটেছিল সাঁওতাল পরগণার দুমাকায় এলাকায় যা বর্তমানে ঝাড়খন্ড রাজ্য নামে পরিচিত। তিনি তার অধ্যাবসায় সম্পূর্ণ করেন কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে। কলেজে অধ্যাবসায় চলাকালীন তার সঙ্গে অনন্তহরি মিত্র, হেমন্তকুমার সরকারের মতো বিপ্লবীদের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাদের নানান বিপ্লবী সাহচর্যে সশস্ত্র বিপ্লববাদে হাতেখড়ি হয়। দক্ষিণেশ্বরে হওয়া বোমা মামলায় তিনি প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর ১৯২৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি অধ্যাবসায়ের উদ্দেশ্যে লন্ডনে গিয়েছিলেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের ছাত্র ছিলেন তিনি। লন্ডনেই তিনি শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন তৈরি করেছিলেন। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রচার অধিকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। কিছুদিন আবার সেই দলের সম্পাদনার কাজও করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ব্রিটিশ মিলিটারি মিশনের হাতে বন্দী হয়ে জেলে যেতে হয়েছিল তাকে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেছিলেন।

ব্রিটিশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছিল। শশীবালা দেবী ছিলেন তাদেরই মধ্যে একজন। নির্ভয় ব্যক্তিত্বের জন্যই শশীবালা দেবীর নাম দেওয়া হয় অগ্নিকন্যা। আইন অমান্য আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। অনেকের কাছে তিনি কংগ্রেসী বুড়িমা নামেও পরিচিত ছিল। তিনি ১৯৩০ সালে হওয়া কংগ্রেস আন্দোলনে একজন সক্রিয় প্রার্থী ছিলেন। আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাকে। তবে সেই সময় গান্ধী-ডারউইন চুক্তির পর তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী কালে তিনি ১৯৩২ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দান করেছিলেন যারদরুন আবারও জেলে যেতে হয়েছিল তাকে। বলাই বাহুল্য আজ তাদের মতো হাজার হাজার বিপ্লবীদের জন্য ভারত স্বাধীনতার মুকুট পরতে পেরেছে।

আরও পড়ুন

এশিয়ান গেমস, টেনিসের ডাবলসের ফাইনালে হার ভারতের, রুপো জয় রামকুমার-সাকেতের
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

ম্যাচের শেষে ফলাফল ৪-৬, ৪-৬

এশিয়ান গেমস, মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে সোনা পলকের, এষার দখলে রুপো
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

১৯তম এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে ভারতীয়দের দাপট অব্যাহত

একাধিক দাবি নিয়ে কলকাতার রাস্তায় আদিবাসীদের মিছিল , যানজটে অবরুদ্ধ গোটা শহর
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

আজ ফের দুপুর দেড়টা নাগাদ অটোরিকশা মিছিল করবেন আদিবাসী সম্প্রদায়রা , নতুন করে ফের যানজটের সম্ভাবনা শহরে

এশিয়ান গেমস, মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে রুপো জয় ভারতের এষা-পলক-দিব্যার
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

তাদের এই রুপোলী মুহূর্তে গর্বিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী

এশিয়ান গেমস, পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল ৩পি বিভাগে সোনা জয় স্বপ্নিল-ঐশ্বর্য-অখিলদের
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে

টাকার বিনিময়ে জেলা সভাপতির পদ , হাবড়ায় দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল বিজেপি কর্মীরা
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

বিজেপির রাজ্য সভাপতি না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধই থাকবে কার্যালয় , হুঁশিয়ারি কর্মীদের

ঋণের নামে বান্ধবীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ , গ্রেফতার সেনাকর্মীর স্ত্রী
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

বান্ধবী ভেবে অভিযুক্ত মহিলাকে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন অন্য সেনা কর্মীরা স্ত্রীরা

সকাল থেকেই চলছে বৃষ্টি , ভরা কোটালের জেরে সাগরে ক্রমেই বাড়ছে জল
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

আজ থেকেই সাগরে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর

সেরা দুর্গাপুজোর জন্য আলাদা পুরস্কার দেবে রাজভবন , নতুন করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতের পরিস্থিতি
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

রাজভবনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়েছে দুর্গাভারত সম্মান

মাস ঘুরলেই পুজো , অল্পদিনের মধ্যে ঘরে বসেই পেয়ে যান গোলাপি ঠোঁট
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট

ঝগড়ার দেবতা , জেনে নিন ব্রহ্মার মানসপুত্র দেবর্ষি নারদ সম্পর্কে
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

সপ্তর্ষিরা ব্রহ্মার শরীর থেকে জাত হয়নি, হয়েছেন তার মন থেকে , একারণে তাদের মানসপুত্র বলা হয়

হাতের কাজের দক্ষতায় বাঁশ দিয়ে বানিয়ে নিন ঘরের শোপিস
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন

সামনের মরসুমেই বিয়ে? দেখে নিন সব শপিং করেও খরচ বাঁচানোর পদ্ধতি
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

শুধু বিয়ে নয় , হানিমুনেও আপনার যথেষ্ট টাকা বাঁচবে এই পদ্ধতিতে

ফুরিয়ে যাচ্ছে মরসুম , শেষ হওয়ার আগে বাড়িতে বানিয়ে নিন তালের ক্রেপস
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

ব্রেকফাস্টেও চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন এই তালের ক্রেপস 

পুজোর আগে মাথায় খুশকির সমস্যা নিয়ে চিন্তিত! দেখে নিন সমাধান
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হবে খুশকির সমস্যা

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online