নিজস্ব প্রতিনিধি, তুরস্ক – তুরস্ক জুড়ে শুধুই লাশের পাহাড়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চারবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। তুরস্কের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়াও। মৃতের সংখ্যা ৭,৭০০। গুরুতর আহত ৩০,০০০-র বেশি। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে কমপক্ষে ১৬,০০০ মানুষ।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে ১৫,০০০ বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পরেছেন ২.৫ কোটির বেশি মানুষ। দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দর। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের চাপে আড়াআড়ি ভাবে দু পাশ থেকে উঁচু হয়ে ফাটল বরাবর উঠে এসেছে বিমানবন্দরের রানওয়ে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, বিমানবন্দরটি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য। 

প্রথম কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। দ্বিতীয়বার কম্পনে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৭। স্থানীয় সূত্রে খবর অনুযায়ী, লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।

তৃতীয়বার ভূমিকম্প হয় সোমবার দুপুর ১.২৪ মিনিট নাগাদ। কম্পন অনুভূত হয় সিরিয়ার দামাস্কাস, লাতাকিয়াতেও। কম্পনে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৬। মঙ্গলবার ফের জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের ব্রোজোবা শহর। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। চতুর্থবার কম্পনে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৬। সূত্রের খবর, ভেঙে পড়েছে তুরস্কের ২২০০ বছরের পুরনো গাজিয়ানটেপ দুর্গ।

ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। ফাটল দেখা দিয়েছে রাস্তায়। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। আপনারা শান্ত থাকুন'। সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান রায়েদ আহমেদ ‘ইতিহাসে আমাদের রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প’ বলে সম্বোধন করেছেন।