নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার - কমিশনের নিষেধাজ্ঞার ৭২ ঘণ্টা শেষ হতেই বুধবার সকালে মাথাভাঙায় পৌঁছলেন তৃণমূল নেত্রী। মাথাভাঙায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেত্রী। বিভেদ ভুলে এদিন মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন ভোটের লাইনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরাও।
বিজেপি এর আগে দাবি করেছিল, আনন্দর পরিবার তাঁদের কর্মী। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই তাঁকে খুন করেছে। তাই মমতার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না আনন্দর পরিবারের কেউ। বিজেপির আরও অভিযোগ ছিল মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। বার বার ৪ জনের নাম নিচ্ছেন আনন্দ বর্মনের নাম নিচ্ছেন না।
এর উত্তরে তৃণমূল নেত্রী জানান, তিনি শহিদ বেদীতে ৫ জন এরই নাম লিখেছেন এবং শীতলকুচিতে গিয়ে আনান্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন। এরপরই বুধবার সকালে আনান্দ বর্মনের পরিবার জানায় তারা মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে মাথাভাঙা হাসপাতালের মাঠে মমতার সঙ্গে এসে দেখা করেন আনন্দর দাদু ও বাবা।
এরপরই আনান্দর পরিবারকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি কথা দিচ্ছি, আমি নিজে থেকে ওই কাণ্ডের তদন্ত করাব। দোষীরা শাস্তি পাবেই। সে তিনি যত বড় কেউ হোন না কেন। আর আনন্দ বর্মনকে কে খুন করল, তাও তদন্ত করে বের করা হবে।"
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর মমতা বলেন, “আমি আপনাদের সকলের ঘরের লোক। আমি দোষীদের ছেড়ে দেব না। শাস্তি পাবেই সবাই। এর জন্যে যতদূর যাওয়া যায়, আমি যাব। ভোট মিটে গেলে যা যা করার দরকার, সবটা করব।"
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় হাতজোড় করে কেঁদেও ফেলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর চোখে জল দেখে কান্নায় ভাসেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও। নিহত পাঁচ জনের পরিবারকেই সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা।