নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম - বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে উপস্থিত হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস জানানোর পাশাপাশি ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত আনারুল। তবে ব্লক সভাপতি গ্রেফতার হতেই  নতুন সভাপতি হলেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি।

এদিন বগটুই গ্রাম থেকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার ও আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার দিন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন খোদ মমতা। যদিও আনারুল নির্দোষ বলে দাবি তার অনুগামীদের। কিন্তু কারোর কোন কথায় কর্ণপাত না করে আনারুলকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্তে অনড়  মমতা।

রামপুরহাটের ১নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন তৃণমূল সভাপতি হিসেবে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সিরাজ জিম্মির নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

উল্লেখ্য, গত দুদিন আগে দুষ্কৃতীর হামলায় মৃত্যু হয় রামপুরহাটের পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের। তবে সেই দিনই ১০টি বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হয় ৮ জনের। এছাড়াও বর্তমানে চিকিৎসাধীন আরও ৫। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি বলে অভিযোগ তুলেছে আক্রান্তের পরিবার। এদিন ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী গেলে তার সামনে অভিযোগ করেন আক্রান্তরা। যাদের মধ্যে বারবার আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে। এক্ষেত্রে  বারংবার সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় শেষমেষ তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন রাজ্য সরকার।