নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা – শীতের মরসুম পিকনিকের আদর্শ সময় । আর ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় হল বাঙালির চড়ুইভাতির উপযুক্ত সময় । এই সময় কেউ ছুটে যান পাহাড়ের কোলে, আবার কেউ যান সমুদ্রে । আবার কেউ পছন্দ করেন ঘন অভয়ারণ্য়ের মধ্যে প্রকৃতির কোলে শান্তিময় পরিবেশ । সুন্দরবনে না গিয়েও, সুন্দরবনের স্পর্শ পেতে হলে এবং প্রকৃতির শান্তি অনুভব করতে চাইলে নিরিবিলিতে দুটো দিন কাটিয়ে আসতে চাইলে ঘুরে আসুন দক্ষিণ ২৪ পরগণার পিয়ালী দ্বীপ ।
কলকাতা থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই দ্বীপ অবস্থিত ।
কেন যাবেন পিয়ালী দ্বীপ?
সুন্দরবনে না গিয়েও, সুন্দরবনের স্পর্শ পেতে হলে এবং প্রকৃতির প্রশান্তি অনুভব করতে চাইলে পিয়ালী দ্বীপ হল তার অন্যতম স্থান। মাতলা এবং পিয়ালী নদীর সঙ্গমস্থলে ম্যানগ্রোভ অরন্যে আচ্ছাদিত এই পিয়ালী দ্বীপ।
পিয়ালী নদীর উপরে একটি ছোট সেতু পেরিয়ে যেতে হয় এই দ্বীপে ।
বিখ্যাত সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত এই দ্বীপ। এছাড়াও এখানে বিদেশী পাখি দেখতে পাওয়া যায় কারণ, জায়গাটি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বাসস্থান, পিয়ালী নদীতে বোটিং করতে পারবেন।
পিয়ালী বাঁধ দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করেছে। একটি আদর্শ ও নির্মল পিকনিক স্পট হল এই স্থানটি।
শান্তি খোঁজার জন্য আশেপাশের গ্রামগুলি ঘুরে দেখতে পারেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনধারায় উঁকিও দিতে পারেন, ঘন ম্যানগ্রোভ বন এবং সবুজ ধানের ক্ষেতে প্রকৃতির মাঝে হাঁটাহাঁটি এই সমস্ত উপযুক্ত ।
পিয়ালী দ্বীপটি নিজেই প্রধান আকর্ষণ যার ধান ক্ষেত, পিয়ালি নদী, বিক্ষিপ্ত জঙ্গল, মাতলা নদী, দ্বীপের তীরে ম্যানগ্রোভ বন এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবন। কিছু পরিযায়ী পাখিও শীতকালে পিয়ালী দ্বীপে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে।
এছাড়াও পিয়ালী দ্বীপের নিকটবর্তী আকর্ষণ হল - পিয়ালী দ্বীপ থেকে ঝরখালি এবং কাইখালিতে একটি উপভোগ্য ভ্রমণ করতে পারেন ।
কখন যাবেন? কিভাবে যাবেন? রাত্রিবাস করবেন কোথায়?
বছরের যে কোন সময় পিয়ালী দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারেন, তবে একমাত্র শীতকাল পাখি দেখার জন্য উপযুক্ত সময় ।
এখানে যেতে হলে শিয়ালদহ ষ্টেশন থেকে লক্ষীকান্তপুরগামী ট্রেনে করে দক্ষিণ বারাসাত ষ্টেশনে নেমে ট্রেকারে করে আপনার গন্তব্যে যেতে পারবেন। তবে ট্রেকারে চাপলে কেল্লা যাবেন বলতে হবে। কারণ পিয়ালী দ্বীপের পরিচিতি এখনও খুব কম।
এখানে একটিমাত্র হোটেল আছে যা আপনি অনলাইনে বা ফোন করেও বুক করেনিতে পারেন।
এই স্থানে পড়ে ছিল দেবী সতীর স্তনযুগল
তিনি দেবতা হিসেবে সেরকম গুরুত্ব না পেলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনী হলো হারকিউলিসের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ কাহিনী
এটি বিশ্বের বৃহত্তম শিব লিঙ্গের মধ্যে একটি, যার উচ্চতা প্রায় ১২৬ ফুট
কি কারণে গির্জাটিকে স্থানান্তরিত করা হয়, দেখে নিন তার ইতিহাস
রহস্যপ্রেমী জন্য বিশেষ ঠিকানা ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো এই স্থান
প্রায় ৪৯৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল
মন্দিরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং শিমলার প্রধান শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
এই মঠটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত
এটি ১৬৭২ সালে লাদাখি রাজা সেঙ্গে নামগিয়ালের দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল
এটি শিলং শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি
এটি ১৭৫২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেটে অবশ্যই ঘুরে আসুন এখানে
অনেকেই মনে করেন যে এই মন্দিরেই স্বয়ং ভগবান শিবের বাস