নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা - মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় ২ টো রাত। কিন্তু এখন কমেনি হাহাকার। ক্রমেই বেড়ে চলেছে স্বজনহারাদের আর্তনাদ। হাতে ছবি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের খুঁজে চলেছে আপনজনরা। এরমধ্যেই স্বজনহারাদের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে নবান্ন থেকে বেশ কিছু ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি।

এদিন তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন ,"বন্দে ভারত নামটা ভাল। কিন্তু, সেদিন একটা গাছ পরেই ট্রেন আটকে গেল। বন্দে ভারতের ইঞ্জিন কোথা থেকে করেছে? এই ইঞ্জিন কি বন্দে ভারতের জন্য ফিট?আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের প্রস্তাব দিই।' এতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও কৃতিত্ব নেই, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস হওয়ার পর দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে।রেলের সুরক্ষার জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্রের বর্তমান সরকার"।

মমতার কথায়, 'আমি ভেবেছিলাম এই সময়টা রাজনৈতিক কথা বলব না। হঠাৎ আমার কাছে একটা ম্যাসেজ এল। তাতে তারা একটা লিস্ট দিয়েছে আমার সময় কত মারা গেছে রেল দুর্ঘটনায় । আমি যে আধুনিক করে দিয়ে এসেছিলাম রেলকে তার জন্যই দুর্ঘটনা কমেছে। যে তথ্য ওরা দিয়েছে ওটা ভুল ইনফরমেশন। আমি তো এখন রেলমন্ত্রকে নেই।'

এরপর বিজেপিকে নিশানা করে  তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেন, 'আমি যদি জিজ্ঞাসা করি গোধরায় কতজন মারা গিয়েছিল। আমি তো সব করে দিয়ে এসছিলাম বলে রেলটা স্বাভাবিক ছিল। যাদের দায়িত্ব ছিল নৈতিকতার তারা দায়িত্ব না নিয়ে আমার সময়ে কত মরেছে হিসেব করতে বসেছে। সেই সময় চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছিল। কতজন মানুষ মারা গিয়েছিলেন? আপনাদের সময় অনেক দুর্ঘটনা হয়েছে। আমরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি কারণ দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। এত মানুষের মৃত্যুর পর তো ক্ষমা চাইতে পারতেন। 

এটা সম্পূর্ণ গাফিলতি। কোনও কো-অর্ডিনেশন ছিল না। না হলে ৮-১০ মিনিটে কলিশন হতে পারে না। আর গতকাল যখন তারা দুর্ঘটনার স্থলে গিয়েছিলেন তখন জয় শ্রীরামের স্লোগান দিচ্ছিলেন। এটা কেউ ভাবতে পারেন , যেখানে সারি সারি মৃত দেহ পরে রয়েছে সেখানে গিয়েও রাজনীতি করতে ছাড়ছে না কেন্দ্র। কেন্দ্রের কিছু চুনো পুটি রয়েছে  বিশেষ করে তারাই সর্বক্ষেত্রের রাজনীতিকে তুলে ধরে।