নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি - প্রাচীনকালে ভারতই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশী উন্নতি করেছিল এমনই দাবি করেছেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ। তার মতে, বীজগণিত, সময়ের ধারণা,বর্গমূল, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, এমনকি বিমানচালনার উৎসের সন্ধানও ভারতের প্রথম বেদ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে সেগুলি আরব দেশগুলির মাধ্যেমে দিয়ে ইউরোপে যায় এবং পরবর্তীতে সেই তথ্যগুলি ছড়িয়ে পরে গোটা বিশ্বে।

সূত্রের খবর, গতকাল বেদের সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগসূত্রের নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও করেন সোমনাথ। বিজ্ঞানের বার্তা ছাড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও সংস্কৃতের অনেক গুণ আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন যে, আগে সংস্কৃতের কোনও লিখিত লিপি ছিল না ঠিকই, সবাই তাই এই বিষয়গুলি শুনে শুনেই মুখস্ত করতেন। এভাবেই এই ভাষাটা বেঁচে থেকেছে হাজারও বছর ধরে। পরবর্তীতে মানুষ সংস্কৃতের জন্য দেবনাগরী লিপি ব্যবহার শুরু করে। ব্যাকরণের জন্যই বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষাই হলো সংস্কৃত, এমনটাই জানান তিনি।

সোমনাথ জানান, ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদের প্রিয় ভাষা হলো সংস্কৃত। এমনকি কম্পিউটারের ভাষার সঙ্গেও এর মিল আছে। তাই যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চায়, তারা সংস্কৃত শেখেন। এই ভাষায় সমস্ত তত্ত্বের ওপর পুস্তক আছে। কিন্তু সেগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি এবং তা নিয়ে তখন গবেষণা করা হয়নি। তবে বেদে সৌরজগত, সময় এবং পৃথিবীর আকার এবং পরিধি সম্পর্কে সব লেখা আছে।