নিজস্ব প্রতিনিধি , মুম্বাই - ৪২এ পা করিনা কাপুরের। ভক্তদের জানালেন বয়স বাড়লেও সেটার কোনো আক্ষেপ নেই তার মধ্যে। নিজের জীবনে যথেষ্ট সাফল্যের মুখ দেখে নিয়েছেন তিনি। নানা চরিত্রে অভিনয় করে লাভ করেছেন খ্যাতি। চরিত্রগুলিকে যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে প্রতিটি ভক্ত তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাই আবার ২২ বছর পরে কর্ণ জোহরের 'কাভি খুশি কাভি গম' সিনেমার পু চরিত্রের কথা উঠে এসেছে। করিনা ছাড়া অন্য কারোর পক্ষে এতটা দক্ষতার সঙ্গে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হত কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহতেই আছেন নেটিজেনরা।
করিনা কাপুর তার কর্মজীবনে পু এবং গীতের চরিত্রের জন্য এখনও এতবছর পরেও যথেষ্ট চর্চায় রয়েছেন। এই দুই সিনেমা ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিনেমাতে তাকে দেখা গেছে। যেমন - ২০০০ সালে 'রিফিউজি' সিনেমায় তাকে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। সেখানে তিনি রিফিউজির প্রেমিকা নাজনীনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
২০০৫ সালে 'কিউ কি' সিনেমাতে সলমন খানের বিপরীতে মানসিক ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। সিনেমাটি ভীষন কষ্টের মধ্যেই শেষ হয়েছে।
২০০৬ সালে শেক্সপিয়ারের লেখা হ্যমলেটের ওপর ভিত্তি করে বানানো হয় 'ওমকারা'। সেখানে অজয় দেবগণের স্ত্রী ডলির চরিত্রে তাকে দেখা গেছে।
২০১২ সালে 'তালাশ' সিনেমায় তাকে দেখা গেছে এক যৌনকর্মী হিসেবে। সেখানে আমির খান এবং রানী মুখার্জির সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।
কারিনা তার বয়সের বিষয়ে কথা বলেন, "আমি কখনই এই সত্য থেকে পালাচ্ছি না যে আমি ৪২ বছর বয়সী। আমার শরীর ভালো অনুভব করছেনা এরম খুব একটা হয়না। কখনও কখনও, আমি ২০ বছর বয়সীদের দিকে তাকাই এবং মনে করি আমি আমার ২০ বছরর মধ্যে থাকতে চাই না। আমি ভালো দেখতে এবং সাফল্য খুঁজে পেতে আর চাপ চাই না। যতক্ষণ না আপনি যা করেন তাতে খুশি হন, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।"
করিনাকে শেষবার আমির খান অভিনীত লাল সিং চাড্ডাতে দেখা গিয়েছিল যা বক্স অফিসে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সিনেমাটি সমালোচকদের কাছ থেকে খুব একটা ইতিবাচক পর্যালোচনা পায়নি। এখন অভিনেতা সুজয় ঘোষের 'সাসপেক্ট এক্স'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন, যেখানে তিনি জয়দীপ সাহানি এবং বিজয় ভার্মার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন। ছবিটি করিনার ওটিটিতে আত্মপ্রকাশকে চিহ্নিত করে।