নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্ডীগড় - অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্নীতিবিরোধী মডেলের অধীনে, পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকার মঙ্গলবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জোরালো প্রমাণ হাতে আসতেই, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জিরো টলারেন্স নীতির অধীনে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান, গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন শাখার পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় টেন্ডার পিছু আধিকারিকদের কাছে ১ শতাংশ কমিশন দাবি করেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভার কাজের জন্য কমিশন নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। সমস্ত অভিযোগ স্বীকারও করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় তাকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ বিজয় সিংলাকে গ্রেফতারের পর মোহালির ৮ নম্বর ফেজ থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আদালতে পেশ করা হয় তাকে। ২৭ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার, একজন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, জনগণ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আম আদমি পার্টির সরকার গঠন করেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। এক শতাংশ দুর্নীতিও বরদাস্ত করা হবে না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি দুর্নীতির ব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলবেন, আমরা সবাই তাঁর সৈনিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। তাই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান জানিয়েছেন, 'বিরোধীরা এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিল না, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো খবর ছিল না সংবাদমাধ্যমের কাছেও। চাইলেই আমরা এই দুর্নীতির বিষয়টি চাপা দিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু আমরা কেজরিওয়ালের পথ প্রদর্শক। তাই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করিনি'। বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার একজন মন্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় বরখাস্ত করেছিলেন। দেশে আজ দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটছে।