গতকালের পর আজও তীব্র উত্তপ্ত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

মার্চ ১৫, ২০২৩ বিকাল ০৫:১৫ IST
64118c465fa68_n48021048816788715002388812cf3193b94406196790e86d15382239ead527896d2069ce335e8934273c74

নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম বর্ধমান - ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে ১০ মার্চ যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। আর ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন শিক্ষকরা। এই ঘটনার পরেও শিক্ষকদের উপস্থিতি দেখিয়ে পুরো বেতন দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিরুদ্ধে। আর তার জেরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্ত করলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী।এই ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

বইটি ক্রয় করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন 

মঙ্গলবার সকালে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাকে বাঁধা দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অফিসার মহেশ্বর মাল্যদাসের বিরুদ্ধে। এরপরই হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নোটিশ প্রত্যাহারের প্রতিবাদে সরব হয়।

এপ্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন,'এই উপাচার্যর অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেজিস্ট্রারই এক বছরের বেশি টেকেন না। উনি অনেক অনৈতিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত। অবৈধভাবে গাছ কাটাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এক উচ্চ অধিকারীককে তার অফিসের মধ্যেই থাকার শোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ডেভেলপমেন্টে যে সমস্ত কাজ হচ্ছে সেই হিসাবপত্র তিনি ঠিক মতো দেন না। আমি এই সকল অনৈতিক ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে।'

এই দিকে উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী এই বিষয়ে সাফাই দিয়ে জানিয়েছেন,'ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ ও ২১ এবং মার্চের ১০ তারিখ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি ছিল। ওই দিনগুলি নিয়ে রাজ্য অর্থমন্ত্রকের তরফে বিশেষ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে সমস্ত কর্মীরা ওই দিনগুলিতে উপস্থিত থাকছেন না তাদের বেতন কিছুটা কাটা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে অনুপস্থিত সমস্ত কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার পুরো বেতন দিয়েছেন। পাশাপাশি, অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্টার অর্থ দফতরে পাঠানোর জন্য যে সহযোগিতা দরকার তিনি তা করছেন না। এর জেরেই বাধ্য হয়ে তাকে বরখাস্তের নোটিস দিয়েছি।'

বিজ্ঞাপন

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online