নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা - চিন্তামণি কর পাখিরালয় অভয়ারণ্য পশ্চিমবঙ্গ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে অবস্থিত ৷ এই অভয়ারণ্য আগে কয়ালের বাগান নামে পরিচিত ছিল ৷ অভয়ারণ্যটি পাখি, প্রজাপতি, ফার্ন এবং অর্কিডের জন্য বিখ্যাত ৷
চিন্তামণি কর পাখিরালয় অভয়ারণ্য়ের ইতিহাস
এই বনাঞ্চলটি ১৯৮২ সালে অভয়ারণ্য মর্যাদা পায়৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এই বনাঞ্চলটিকে জন সাধারণের কাছে উন্মুক্ত করার জন্য ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে সরকারীভাবে অধিগ্রহণ করে এবং ২০০৫ সালে এই বনাঞ্চলটিকে সরকারীকরণ করা হয় ৷ ২০০৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বনাঞ্চলটি ‘নরেন্দ্রপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ নামে পরিচিত থাকলেও পরে ঐ বনাঞ্চলটিকে আদর্শ অভয়ারণ্যতে তৈরি করার জন্য সর্বাধিক অবদান যেই ব্যক্তির,
সেই বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী চিন্তামণি করের নামে উৎসর্গ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৷ অবশেষে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ২১শে অক্টোবর সরকারী সাহায্যে স্থায়ী ভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ৷
কি কি দেখা যায় এই অভয়ারণ্যটিতে?
এখানে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ।
যেমন- মেটে ফিঙে, এশীয় কোকিল, ভুতূম প্যাঁচা (হুতোম প্যাঁচা), কালো ফিঙে,
পাতি শিকরে, দেশি কানিবক, বামন ফিঙে, গো বক, তিলা মুনিয়া, ছোট বগা, ছোট পানকৌড়ি, সাদা খঞ্জন,
সবুজ বাঁশপাতি(মাছরাঙা), পাতিকাক,দাঁড় কাক, খয়েরি হাঁড়িচাচা, ধলাগলা মাছরাঙা, মেঘহও মাছরাঙা, পাকড়া কাঠকুড়ালি, খয়েরি কাঠঠোকরা, দাগিগলা কাঠঠোকরা, সবুজ ঘুঘু,
তিলা ঘুঘু, শাহ-বুলবুল, দোয়েল, পীত মৌটুসি, বেনেবউ (বউ কথা কও / ইষ্টি কুটুম) ,
ধূসর গাংরা, কাঠ শালিক, বাংলা বুলবুল, উদয়ি ধলাচোখ, ধলাগলা লেজনাচানি ইত্যাদি ।
এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের প্রজাপতি, যেমন-
হরতনি, লোপামুদ্রা, হরিনছড়া,
হলুদ চিতা, চাঁদনরি, পিপুলকাটি, নয়ান, বাঘবল্লা, হিমলকুচি, ছিটমউল, পায়রাচালি, তিলাইয়া, সাজুন্তি ইত্যাদি ।
এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের মাকড়সা, ফার্ন এবং অর্কিড ।
এই অভয়ারণ্যটি খোলা থাকে ৩৬৫ দিনই সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ।
খাওয়া- দাওয়া কোথায় করবেন? কিভাবে যাবেন?
এই অভয়ারণ্যে কোনও খাবার দোকানের ব্যবস্থা নেই । তাই জল ও খাবার বহন করে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয় ।
এই অভয়ারণ্যটি নরেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং হাওড়া রেল স্টেশন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷
হাওড়া থেকে বাসে গড়িয়া (S-5, S-6, AS-5, AC6) বা নরেন্দ্রপুরগামী বাসে নরেন্দ্রপুর বাসস্টপে নেমে ৩০০ মিটার নরেন্দ্রপুর রথতলার দিকে গেলে এই অভয়ারণ্যে পৌঁছান যাবে । বাসে- হাওড়া থেকে যাদবপুরগামী বাসে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যাণ্ডে নেমে সেখান থেকে অটোতে গড়িয়া মোর এসে আবার অটোতে নরেন্দ্রপুর বাসস্টপ পর্যন্ত আসতে হবে ৷ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বালিগঞ্জ জং-সোনারপুর জং ট্রেনে নরেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনে নেমে যেতে হবে ।
ঠিকানা- হোগুলকুরিয়া রাজপুর রোড, রামচন্দ্রপুর, নরেন্দ্রপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০১০৩
এই স্থানে পড়ে ছিল দেবী সতীর স্তনযুগল
তিনি দেবতা হিসেবে সেরকম গুরুত্ব না পেলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনী হলো হারকিউলিসের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ কাহিনী
এটি বিশ্বের বৃহত্তম শিব লিঙ্গের মধ্যে একটি, যার উচ্চতা প্রায় ১২৬ ফুট
কি কারণে গির্জাটিকে স্থানান্তরিত করা হয়, দেখে নিন তার ইতিহাস
রহস্যপ্রেমী জন্য বিশেষ ঠিকানা ও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো এই স্থান
প্রায় ৪৯৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল
মন্দিরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং শিমলার প্রধান শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
এই মঠটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত
এটি ১৬৭২ সালে লাদাখি রাজা সেঙ্গে নামগিয়ালের দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল
এটি শিলং শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি
এটি ১৭৫২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে
রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেটে অবশ্যই ঘুরে আসুন এখানে
অনেকেই মনে করেন যে এই মন্দিরেই স্বয়ং ভগবান শিবের বাস