নিজস্ব প্রতিনিধি , আলিপুরদুয়ার – কয়েকদিন আগে খোঁজ মিলেছিল রামপুরহাটের এক কোটিপতি কনস্টেবলের। এই কনস্টেবলের সম্পত্তির হিসাব নিয়ে গোটা রাজ্য যখন তোলপাড়। তখন আলিপুরদুয়ারে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ। অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ৪ বছর ধরে ওই কনস্টেবল এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ আছে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ।
সূত্রের খবর , আলিপুরদুয়ার এসপি অফিসে জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।পুলিশের কনস্টেবলের নাম দীপঙ্কর সরকার। সপ্তাহখানেক আগে জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাসিক ভাতার হিসেব মেলাতে গিয়ে আর্থিক গরমিল নজরে আসে খোদ পুলিশ সুপারের।এর পরেই এই নিয়ে তদন্ত কমিটি বসে।
সেই রিপোর্টে দেখা যায় জেলার থানাগুলিতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররা লিভ নিলেই, তাঁদের মাসোহারার মধ্যে সেই দিনগুলির টাকা সফটওয়্যার জালিয়াতি করে নিজের বেশ কিছু আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে দিত অভিযুক্ত। গত সাড়ে চার বছরে ওই কনেস্টবল সাড়ে নয় লাখ টাকা এ ভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে আমরা নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা তা ছাড়া হয়েছে এবং অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে।তারপরেই নিঃশব্দে তদন্ত চালানোয় আর্থিক তছরুপের বিষয়টি সামনে আসে। সোমবার ধৃত কনেস্টবলকে আদালতে পেশ করে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।”
তিনি আরও বলেন “ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিএফের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত লিখে সরকারি অর্থ তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন।তবে আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”