বুধবার রাতে হাওড়ার অন্দুলে একটি এটিএম কাউন্টারের ভিতর এক মহিলা মদ্যপ অবস্থায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালিয়ে এটিএম কাউন্টারের পাশে নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। ৩ জন যুবক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ কে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে মহিলাটি তাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ , সঙ্গে উদ্ধারকরি ৩ যুবককে রাতভোর থানায় আটক করে রাখা হয়।
সূত্রের খবর , ঘটনার দিন রাতে হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফেরার পথে ৩ যুবক মহিলাটিকে রক্তাক্ত ও নগ্ন অবস্থায় এটিএম কাউন্টারের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখেন। আসে পাশে ভিড় করে ছিলেন বহু মানুষ। তাড়াহুড়ো করে ওই ৩ যুবক গাড়ি থেকে নেমে মহিলাকে উদ্ধার করে সাহায্য করতে চায়। পরে তারা বুঝতে পারে ওই মহিলা মদ্যপ অবস্থায় এটিএমে ভাঙচুর চালান এবং সেই অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তার শরীরে কাঁচ ফুটে শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে ছিলো।
এরপর তারা পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। কিন্তু মহিলাটি পুলিশ কর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে উল্টে পুলিশকে মারতে উদ্যত হয়। মদ্যপ অবস্থায় মহিলাটি পাপাই নামের কোনও একজন ব্যক্তির নাম করতে থাকেন।
আপনাকে কে নগ্ন করেছে , এই প্রশ্নের উত্তরে এক যুবককে তিনি বলেন 'তোর বাবা'। এছাড়াও তিনি বলতে থাকেন,'পাপাই আমি তোমাকে ঘেন্না করি, তুই আমার শিব হতে পারলি না, আমার শিব আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমার বাবা আমার শিব। সব দিলাম তোকে কিন্তু তবু তোর লোভ গেলোনা।' তার হাত কে কেটেছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন তিনি নিজেই কেটেছেন।
ঘটনাস্থলে কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী না থাকায় অসুবিধার মধ্যে পড়েন পুলিশকর্মীরা। পরে যদিও বা মহিলা পুলিশকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। ইতিমধ্যেই কিছুদূরে মহিলাটির জামাকাপড় কুড়িয়ে পাওয়া যায়। মহিলাকে বুঝিয়ে তাকে জামাকাপড় পড়ানোর চেষ্টা করেন ৩ যুবক। পাশাপাশি একটি গামছা দিয়ে তার হাতের ক্ষত বেধে দিয়ে রক্ত বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। মহিলা পুলিশ কর্মীরা এসে ওই মহিলাকে সাঁকরাইল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
শৌনক দাশগুপ্ত জানান , হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মহিলার সঙ্গে পুলিশ তাকে সঙ্গে তুলে নেন। হাসপাতালে এনে তাকে মেডিকেলের জন্য বলা হয়। তিনি নাম ঠিকানা দেওয়ার পরও তাকে সেখানে দাড় করিয়ে রাখা হয়।
এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই যুবকের প্রশ্ন , পুলিশকে এতটা সহযোগিতা করার পরও কেনো তাকে আটকে রাখা হলো ।বাড়িতে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছে । রাতে শারীরিক কারণে তাকে ওষুধ খেতে হয়।
তাছাড়া তার বাড়ির লোক অপেক্ষা করছে। তিনি পুলিশকে সিসিটিভি দেখে নেওয়ার কথাও বলেন , কিন্তু কথা কেউ না শুনে তাকে আটকে রাখা হয়। থানায় নিয়ে গিয়েও তাদের বলা হলো সকালে বড়োবাবু আসলে তদন্ত করে ছাড়া হবে।পুলিশকে সহযোগিতা করার মাশুল তাকে কেনো এভাবে দিতে হচ্ছে । একের পর এক এভাবেই যুবকটি প্রশ্ন তুলতে থাকে।
বিস্তারিত দেখুন
প্রায় ২ ঘন্টা ধরে অবরোধ , তীব্র ভোগান্তির মুখে নিত্য যাত্রীরা
'কিলার মিলার'-এর দাপটে ফাইনালে গুজরাত
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর
পুলিশের গুলিতে ঝাঁজরা অভিযুক্ত বন্দুকবাজ কিশোর , মৃতদের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ মার্কিন প্রেসিডেন্টের
বাস দুর্ঘটনায় আহত প্রায় আরও ৪০ জন
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে শুরু হবে ম্যাচ
রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি
অচৈতন্য যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করার জায়গায় মাঝ পথে ফেলে দিয়ে চলে গেল বাসের কন্ডাক্টর , দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ পরিবার
কেন্দ্রীয় সরকারের নর্থ ওয়েস্টার্ন রিজিয়নের বিভিন্ন দফতরে ৮১২ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হচ্ছে
রাজস্থান রয়্যালস - ১৮৮/৬(২০)
গুজরাত টাইটান্স - ১৯১/৩(১৯.৩)
তৃণমূল নেতার ভয়ে ঘরছাড়া পরিবার
মহাকাল পুজোয় উৎসর্গ হয় বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ
দুজনেই সম পরিমাণ ক্লিন শিট রেখেছেন
অর্জুন দলবদল করতেই সেতুবন্ধনের কাজ করবে বিটি রোড