নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রিটেন - এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৯০ লক্ষ ডোজ় টিকাকরণ হয়েছে। ৭০ লক্ষ বাসিন্দার দু’টি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এটি দেশের জনসংখ্যার ১০.৫১ শতাংশ। অর্থাৎ এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া বাকি। যাঁদের টিকাকরণ শেষ হয়েছে, তার বড় অংশই প্রবীণ। নবীন প্রজন্ম এখন প্রতিষেধকহীন।
এ অবস্থায় লকডাউন তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন হু-র ইউরোপ শাখার বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন স্মলউড। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানান, "কড়া করোনা-বিধির জন্যই সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। বিধি হাল্কা করে দিলে ফল ভাল হবে না। ভাইরাস শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা ও মারণ ক্ষমতা, দুই-ই বেশি। এই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হতে পারে কমবয়সিরা, যাঁদের টিকাকরণ এখনও হয়নি। এখনই নিজেদের সাফল্যে ব্রিটেনের খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি।’’
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সতর্কবার্তা উড়িয়ে দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, "লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে ব্রিটেন। আমি নিশ্চিত, সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। সাধারণ মানুষও এত দিন ধরে ঘরবন্দি। এ বার তাঁরা সব জায়গায় যেতে পারবেন। তবে প্রত্যেকের কাছে আর্জি, নিজেদের দায়িত্ব ভুলবেন না। হাত ধুতে হবে, মুখ ঢাকতে হবে, দূরত্ব-বিধি আবশ্যিক এবং বিশুদ্ধ বাতাস।’’