নিজস্ব প্রতিনিধি , জলপাইগুড়ি - নৃশংস ঘটনার অভিযোগ জলপাইগুড়ির নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার। ছাত্রীর শরীরের ব্লেড চালিয়ে বাকিদের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ। এখানেই শেষ নয়। ফাঁকা সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশনের ট্রেনিং ডাক্তারের। বেনজির ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায় একটি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ওই চত্বরে। প্রশ্ন উঠেছে একজন ডাক্তার কীভাবে এত অমানবিক হতে পারেন?
সূত্রের খবর , জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায় একটি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে টাকার বিনিময়ে নার্সিং ট্রেনিং দেওয়া হতো। অভিযোগ , সেখানে ছাত্রীর শরীরের ব্লেড চালিয়ে বাকিদের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এখানেই শেষ নয়। ফাঁকা সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশনের ট্রেনিং দিতেন সেখানকার ডাক্তারেরা। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে। আপাতত ওই ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যের তরফে।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী জানান, "টাকার বিনিময়ে আমি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হই। বলা হয় একবছরে যাবতীয় নার্সিং ট্রেনিং দেওয়া হবে এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যা অন্য জায়গায় চাকরি পেতে সাহায্য করবে। কিন্তু আমাদের নিজেদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে সেলাই করা শেখানো হচ্ছিলো। মেডিসিন ছাড়া ইঞ্জেকশন পুশ করা শেখানো হচ্ছিলো তাই এই অভিযোগ করেছি।"
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার জানান, "এই ধরনের বর্বরোচিত শিক্ষা মেডিকেল সায়েন্সের কোথাও উল্লেখ নেই। এই ধরনের ঘটনা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই শাস্তি পাবে দোষীরা। তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"