নিজস্ব প্রতিনিধি , নদীয়া - পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রবিবার ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এছাড়াও আরও ১০টি জায়গায় হানা দিয়েছিল তারা। আর এবার সোমবার বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। সোমবার সকাল থেকেই তার বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ২০১৪-২০১৮ সালের মধ্যে রানাঘাট পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই মামলার কিংপিন অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই এই নিয়োগ হয় বসে সিবিআই সূত্রের খবর। আর সেই সময় রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন পার্থসারথি। সেই সময় একটানা ২৫ বছর রানাঘাটের পুরপ্রধান পদে ছিলেন পার্থসারথি।
প্রথম ১৫ বছর কংগ্রেসের হয়ে এবং পরের ১০ বছর তৃণমূলের হয়ে ওই পদে আসীন ছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেও যান তিনি। কিন্তু ২০২১ সালের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তাকে রানাঘাট বিধানসভা থেকে দাঁড় করায় বিজেপি। এবং সেসময়ও তিনি জয়ী হন।
আর সেই কারণেই এদিন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথির বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই। এদিন সকালে ১০টার কিছু আগেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি চলাকালীন ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বিধায়কের অফিস সিল করে দেন আধিকারিকরা। এদিকে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম কোনো বিজেপি বিধায়কের নাম জড়ানোই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ জানিয়েছেন, ‘‘পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় তাকে চুরি করতে হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে পার্থসারথি অত্যন্ত ভাল মানুষ। কিন্তু কেউ যদি চুরি করে থাকে, আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। বিজেপি বলে তাকে রেয়াত করা হবে না। তবে বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই হানার মধ্যে দিয়ে আবার প্রমাণ হল, তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত।’’
জগন্নাথের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘কোণঠাসা হয়ে গিয়ে চোখে ধুলো দিতেই নাটক করছে ইডি, সিবিআই। এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করলে বুঝব তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা আছে। তার আগে এসব ভাঁওতাবাজি করে কোনও লাভ নেই।’’