অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - 'বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন।
নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।।' আজ গণেশ চতুর্থী। আজকের দিনে গোটা দেশ এর আমেজে মেতে থাকে। মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে বাংলার একাধিক শহরে বিঘ্নহরতার পুজো করা হয়। গণেশ পুজো মানেই দেবী পক্ষের আগমনের অগ্রিম বার্তা। ভাদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজোর আয়োজন করা হয়। দশ দিন ধরে চলার পর উৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। বলা হয় যাবতীয় শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয়। গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। দেবতাদের মধ্যে গণেশকেই প্রথম পূজ্য দেবতা বলে গণ্য করা হয়। গণেশের ১০৮ টা নাম আছে। এর মধ্যে গণপতি, গজানন, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের এমন বহু মন্দির আছে যেখানে গণপতির পুজো করা হয়। সেইসব বিখ্যাত মন্দির গুলি হলো।
১) সিদ্ধি বিনায়কর মন্দির
গণপতি প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। ১৮০১ সালে এই গণেশ মন্দির স্থাপিত হয়। এখানকার গণেশ নবসাচা গণপতি নামে পরিচিত। সারা বছর এখানে ভক্তদের ভিড় থাকে তবে গণেশ চতুর্থীর দিন এখানকার ভিড় চোখে পরার মতো। কথিত আছে মন্দিরে পুজো করা মাত্রই ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন গণেশ।
২) চিন্তামন গণেশ মন্দির
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে অবস্থিত এই গণেশ মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করলে এখানে গণপতির তিনটি মূর্তি দেখা যায়। চিন্তামন, ইচ্ছামন ও সিদ্ধিবিনায়ক গণেশ। চিন্তামন অর্থাৎ অবসাদ দূর করে যে। এই মন্দিরে এলে ব্যক্তির সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর হয়। তার পাশাপাশি এখানে এলে ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন গণেশ।
৩) ডগড়ুশেঠ হলওয়াই গণপতি মন্দির
পুণে শহরে অবস্থিত এই গণেশ মন্দিরটি তার বৃহৎ প্রতিমার জন্য বিখ্যাত। প্রতিমা প্রায় সাড়ে সাত ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া। সোনার অলংকারে সজ্জিত এই মন্দির। কথিত আছে, মিষ্টান্ন বিক্রেতা ডগড়ুশেঠ গডওয়ে মহামারীতে নিজের ছেলে হারানোর পর এই মন্দির স্থাপন করেন। গণেশ চতুর্থীর দিন এখানে অনেক ভিড় চোখে পরে।
৪) ডোডা গণপতি মন্দির
কর্ণাটকের দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বসবনগুড়ীতে এই মন্দির অবস্থিত। কন্নড় ভাষায় ডোডা শব্দের অর্থ হলো বড়ো। এই মন্দিরের গণপতি প্রতিমা ১৮ ফুট লম্বা ও ১৬ ফুট চওড়া। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গণেশ চতুর্থীর দিন ভক্তরা জমা হয়। শুধু মাত্র বিঘ্নহরতার মুখ দর্শনে খাতিরে। সমাজের যেকোনও একটি সম্প্রদায়ের মানুষ যে এই মন্দির দর্শন করে থাকেন তা কিন্তু নয়। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এই মন্দির দর্শনে আগ্রহী থাকেন। কারণ গণপতি বিঘ্নহরতা আর তিনি সকলের।
৫) রণথম্ভোর গণেশ মন্দির
এটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো গণেশ মন্দির হিসেবে পরিচিত। রাজস্থানের রণথম্ভোর কেল্লায় চৌহান বংশের রাজা হমীরদেব ১৩০০ সালে এই মন্দির স্থাপন করেন। এটি ত্রিনেত্র গণপতি মন্দির নামে প্রসিদ্ধ। প্রতি বছর গনেশ চতুর্থীর দিন এখানে ভক্তদের সমাগম ঘটে।
৬) রাজস্থানের মতি ডুংরি
প্রায় চারশো বছরেরও বেশী পুরনো। জয়পুরের মতি ডুংরি পাহাড়ের গোড়ায় নির্মিত এই মন্দিরটি রাজস্থানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সারা বছর ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে গণেশ চতুর্থীর দিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে।
৭) গ্যাংটকের গণেশ টক
সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০০ মিটারেরও বেশী উচ্চতায় অবস্থিত এই মন্দিরটি ভগবান গণেশকে উত্সর্গ করা হয়েছে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের নামে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে। গ্যাংটকে ঘুরতে আসা সমস্ত ভ্রমনার্থীরা এই মন্দির দর্শন করে থাকেন।
জেনে নিন মৃগী রোগের হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন যোগাসন করবেন
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
যারা ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত, তারা সকলেই বসির চাচাকে চেনেন
ভারত – ৪
জাপান - ২
কোনোরকম ওটিপি শেয়ার না করার পরেও উধাও টাকা , ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ যুবক
বৃহস্পতিবার বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই জানা গেল অক্ষর প্যাটেল নন রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলবেন
ভারত – ০
সৌদি আরব – ২
পাকিস্তানের ৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে অবস্থিত
একনজরে দেখুন কেন ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে আজকের দিন
রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই অভিষেককে ডেকে পাঠানো ইডির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে , তোপ কুনালের
আরও ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে
লিপস অ্যান্ড বাউন্স মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি নিয়ে তাদের সশরীরে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
রাজকুমার হিরানির ডাঙ্কি ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গেও দেখা যাবে তাকে