নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর - গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি নির্বাচন ঘিরেও অশান্তি। তুমুল উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে। শুক্রবার বেলা প্রায় এগারোটা নাগাদ পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এরপরই পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দফায় দফায় শাসক ও বিরোধী দলের অশান্তি ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
সূত্রের খবর , এগরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সঞ্চালক নির্বাচন ঘিরেও উত্তেজনা।শুক্রবার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রামে উপসমিতি নির্বাচন হয়। এর আগে সমিতি নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপি দুজনেই ১১ টি আসন পায়। এরপর আজ উপসমিতি নির্বাচন ঘিরে পঞ্চায়েতে উত্তেজনা। বিরোধী সদস্যদের মারধর ও ঢুকতে বাধার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দল সদস্যদের মারধরের অভিযোগ। পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তৃণমূলের বিরুদ্ধে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় স্থানীয় পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে পঞ্চায়েত দফতরের তালা ভেঙে বিরোধীদের সদস্যদের ঢোকায়।এরপর পুলিশি নজরদারিতে বিরোধীরা সঞ্চালক নির্বাচনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করে।
এই বিষয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রফুল্ল মাইতি বলেন, “তৃণমূলের লোকজন বলছে আমাদের ঢুকতে দেবে না। তখন আমি জোর করে ঢুকতে যাই পঞ্চায়েত অফিসে। তখনও একদল তৃণমূল সমর্থক বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে আমাদের পঞ্চায়েত অফিসে প্রবেশ করায়।”
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আস্ফাতুল্লাহ খান বলেন, “বিজেপির নিজেদের মধ্যেই গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। তা মিটিয়ে আসতে-আসতে দেরি হয়ে যায়। এরপর যখন আসে তখন সঞ্চালক নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”