অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচতে কাছে পিঠে নয় বরং দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যেতে পারেন মিজোরামের মুইফাঙে। এটি মিজোরামের অন্যতম শৈল শহর হিসাবে পরিচিত যেখানে শুধু মাত্র এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ বিদেশের বহু পর্যটক ছুটে আসে। প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন এখানে দেখতে পাওয়া যায়।

মুইফাং মিজোরামের অন্যতম জনপ্রিয় পার্বত্য শহর। সবুজ গালিচায় মোড়া প্রশস্ত উঁচুনিচু প্রান্তর। পাহাড়ের বুকে অবস্থিত ছোট ছোট ঘর, যেখানে বাস করে বহু মানুষ। এখানে মেঘ মাঝে মাঝে নীচে নেমে আসে যেনো দেখে মনে হয় মেঘের মধ্যে গোটা শহর গড়ে উঠেছে। মেঘের ওপর ভাসছে এমনই একটি শহর এটি।

তবে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এখানকার অরণ্যের অনেকাংশেই মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি এখনও। এখানকার জনবসতি দূরে দূরে অবস্থিত। এই এলাকার সকল মানুষের ভিনদেশের ভ্রমনার্থীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ প্রকাশ পায়। ভাষা সমস্যা থাকলেও চোখেমুখের আন্তরিকতা সেই সমস্যাটিও মিটিয়ে দেয়।

এই শৈল শহর আইজলের কাছে অবস্থিত। শৈল শহরটি আজও কুমারী বন দ্বারা আবৃত। এটি আইজল থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬১৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চারাস টুরে যেতে চান তাহলে এটি একটি আদর্শ জায়গা।

সুতরাং নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে থেকে কিছুটা সময় বার করে ঘুরে আসতে পারেন মিজোরামের শৈল শহর মুইফাঙে।

কিভাবে যাবেন ?

হাওড়া থেকে মিজোরামগামী ট্রেনে উঠতে হবে। আপনি চাইলে ফ্লাইটের মাধ্যমেও মিজোরামে পৌঁছাতে পারেন। এরপর আপনি সড়ক পথে গাড়ির মাধ্যমে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন।