নিজেস্ব প্রতিনিধি , বীরভূম - হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার চিকিৎসকের রক্তাক্ত মৃত দেহ। মৃত চিকিৎসকের নাম মদন লাল চৌধুরী,বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বীরভূমে নলহাটি চার নম্বর ওয়ার্ডের রেলগেটের কাছের বাড়িতে। ওই মৃত চিকিৎসক একাই থাকতেন ওই বাড়িতে।এই ঘটনার জেরে শোকাহত গোটা পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ওই চিকিৎসক বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। বয়স হওয়ায় নলহাটির চেম্বারেই তিনি প্র্যাকটিস করতেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তেমনভাবে আর চেম্বারে যাওয়া হতো না ওই চিকিৎসকের। তবে দিন দুপুরে কিভাবে হাত-পা বেঁধে খুন হলেন ওই চিকিৎসক সেই প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মনে।

এক স্থানীয় বাসিন্দার দোকানের চাবি থাকতো ওই চিকিৎসকের কাছে। সেই চাবি যখন আনতে যায় তখন দেখে ডাক্তারবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে আছেন। ওই স্থানীয় ব্যক্তিটি হতভম্ভ হয়ে এলাকার মানুষজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। তারপরে খবর দেওয়া হয় নলহাটি থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন পৌঁছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে কিভাবে এই খুন হল সেই নিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা বিপ্লব ওঝা জানিয়েছেন,“উনি খুব ভালো একজন ডাক্তার ছিলেন। এমনকি দুবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির মনোনীত প্রার্থী হয়েছিলেন। নলহাটি মানুষদের সঙ্গে খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল তার। দিনের বেলাও খুন হচ্ছে মানুষ,রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বটেই। উনি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন দল তার পরিবারের পাশে আছে ও থাকবে”।