নিজস্ব প্রতিনিধি , উত্তর দিনাজপুর - প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের মন্ডল পরিবারের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো। মন্ডল পরিবারের শারদীয়া উৎসবে মূর্তি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই রয়েছে প্রাচীনত্ব ও সাবেকিয়ানার ছোঁয়া।
কালের নিয়মে সমস্ত কিছু পরিবর্তিত হলেও , এখনও সমস্ত রীতিনীতি মেনে বংশপরম্পরায় পূজিত হচ্ছেন মন্ডল পরিবারের দেবী দুর্গা। এই পরিবারের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হিন্দু-মুসলিম সৌভ্রাতৃত্ব। আজও এখানে প্রতিমার কাঠামো নির্মাণ হয় মুসলিম শিল্পীকে দিয়ে।
বিহারের কিশোরগঞ্জ জেলায় মন্ডল পরিবারের পুজোয় মহাম্মদ শফিক নামে এক মুসলিম মিস্ত্রিকে দিয়ে তৈরি করানো হতো মা দুর্গার কাঠামো। মূর্তি ভাসানো হলেও , রীতি মেনে কাঠামো ভাসান হয়না মন্ডল বাড়িতে। পেরিয়ে গিয়েছে সময় , বিহার থেকে বাংলায় এসেছে মন্ডল পরিবারের পুজো। তবু আজও অক্ষুন্ন রয়েছে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতি। এখনও প্রথা অনুযায়ী এই পুজোয় সামিল হন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। নিষ্ঠা মেনেই ইসলামপুর পুরনো পল্লীর মন্ডল পরিবারের পুজোর দায়িত্ব পালন করেন তারা।
পরিবারের সদস্য দীপক মন্ডল জানান , ‘পরিবারের সকলেই পুজোতে অংশগ্রহণ করে , যে যেখানেই থাকুক না কেন। শুধুই বাড়ির লোকেরা নয় , পাশাপাশি এলাকার মানুষেরাও সামিল হন এই উদযাপনে। আশেপাশের মুসলিম ভাইয়েরাও অঞ্জলি পুজোতে ডালা দেয় মায়ের কাছে। হিন্দু-মুসলিম একত্রে আমরা পুজো করি , কোন ভেদাভেদ নেই এখানে। দশমীর দিনও হিন্দু মুসলমান মিলেই যাই দেবীর বিসর্জনে’।
পাশাপাশি গত দু'বছরের করোনা পরিস্থিতির সমস্ত নিয়ম মেনে পুজো করার পর এই বছর আবারও পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছে শারদীয়া উৎসব। সেই আনন্দে মেতেছেন এলাকার সকলে।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।