নিজস্ব প্রতিনিধি , গুয়াহাটি - গত শুক্রবার একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে 'লাভ জিহাদ' সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দু মহিলা এবং পুরুষদের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। শুধু তাই নয়, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্পর্কেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যার জেরে তৈরি হয় বিতর্ক। অসম জাতীয় পরিষদ (এজেপি) শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বদরুদ্দিন আজমলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তবে ঘটনার ঠিক একদিন পরেই অর্থাৎ শনিবার হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বলা তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিলেন আজমল। এছাড়াও তিনি বলেন, তার করা মন্তব্যের জেরে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য তিনি 'লজ্জিত'।
সম্প্রতি এআইডিইউএফ সুপ্রিমো মুসলিমদের মতো হিন্দুদেরও অল্পবয়সে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে তারা বেশি সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। সেদিনের বক্তব্যে আজমল বলেছিলেন, "মুসলিম পুরুষেরা ২০ - ২২ বছর বয়সে বিয়ে করে, এবং মুসলিম মহিলারাও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করে। অপরদিকে, হিন্দুরা বিয়ের আগে একটি, দুই বা তিনটি অবৈধ স্ত্রী রাখে, যারা সন্তান জন্ম দেয় না। তারা শুধু নিজেদের ভোগ করে এবং অর্থও সঞ্চয় করে না। ৪০ বছর বয়সের পরে, তারা বাবা-মায়ের চাপে বিয়ে করে। তাহলে কীভাবে কেউ আশা করতে পারে যে তারা ৪০ বছর পরে সন্তান ধারণ করবে? আপনি যদি উর্বর জমিতে বীজ বপন করেন তবেই আপনি ভাল ফসল পাবেন, তার প্রবৃদ্ধি হবে।"
"এক্ষেত্রে তাদেরও (হিন্দুদের) মুসলমানদের ফর্মুলা অনুসরণ করা উচিত। অর্থাৎ অল্প বয়সে বিয়ে করা উচিত।ছেলেদের ২০-২২ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া উচিত এবং ১৮-২০ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া উচিত।তারপরে কত সন্তানের জন্ম হয় তা দেখুন।"
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার ক্ষমা চেয়ে আজমল জানান, "আমি কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করিনি, বা 'হিন্দু' শব্দটি ব্যবহার করিনি। আমি কারো হৃদয় ভাঙতে চাইনি। তবে আমি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত। আমার মতো একজন সিনিয়র ব্যক্তির এমন মন্তব্য করা উচিত ছিল না।"
আজমলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, "অনেক হিন্দু নেতা প্রতিদিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। সবার জন্য সমান উন্নয়ন ও অধিকার আমার মন্তব্যের মূল ছিল, যা ভিন্ন সুর দেওয়া হয়েছে।"
বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলার বিজেপির মুখপাত্র রঞ্জীব শর্মা। তিনিও আজমলের প্রাথমিক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, "আজমল এবং তার লোকেরা মহিলাদেরকে নিছক বস্তু হিসাবে দেখেন।" তিনি আজমলের মাওলানা উপাধি কেড়ে নেওয়ারও দাবি জানান।
অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস গুয়াহাটিতে তার অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে আজমলের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। দলের মুখপাত্র দিলীপ শর্মা জানিয়েছেন, "আমরা নারী ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য সহ্য করব না। আজমল গুজরাত নির্বাচনের দিকে নজর রেখে বিজেপির নির্দেশে এসব কথা বলছে। আমরা তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।"
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।