নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া - বলাইবাহুল্য, বর্তমান সমাজে এক শ্রেণীর মানুষের হাতে আছে অগাধ সম্পদ আর এক শ্রেনীর হাতে কিছুই নেই। যাদের কিছুই নেই,সেই অসহায় মানুষদের পাশে রয়েছে ‘LOLARK’। চরম দুর্দিনেও যারা অটল নিজেদের কর্তব্যে।তাই একবার কি জানব না , কিভাবে কাটায় তারা প্রতিদিন? একবারও কি জানার চেষ্টা করবেন না,ভাতের সঙ্গে একটু নুনও জোটে তো ? ভিক্ষা করেও কি নুন কেনার পয়সাটুকু জুটছে ? নাকি ভিক্ষা করাটাও বন্ধ হয়ে গেছে তাদের।
করোনা, লকডাউন এসব তো আছেই।দুর্বিসহ অবস্থা গ্রামবাসীদের অনেকদিন আগে থেকেই চলছে। এত সমস্যার মধ্যেও ‘LOLARK’ তার স্বল্প ক্ষমতায়, মাত্র কয়েকটা দিন এই অসহায় মানুষ গুলোকে একটু ভালো রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার ড: পূরবী ভৌমিকের সহযোগিতায় পুরুলিয়া জেলার মনিপুর, বহড়, কালিক্যান্দ, মানিকপুর, পুনকাঠীর প্রত্যন্ত গ্রামের ২০০ জন আদিবাসী মানুষের হাতে ডাল, তেল,সয়াবিন,মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট, নুন, হলুদ, সবজি, মশলা তুলে দেওয়া হয়।
২২ জন লেপ্রসি ভিক্ষুকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মেডিসিন ও ড্রেসিংয়ের জন্য তুলো ও ব্যান্ডেজ, ইনহেলার। পাশাপাশি সহযোগিতা করেছেন বিনয় কৃষ্ণ গোস্বামী, ড: নুপুর দত্ত গুপ্ত এবং বাসুদেব ব্যানার্জি।
উল্লেখ্য, 'রামচন্দ্রপুর লোলার্ক সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন' ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করে। এই সংস্থাটি ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল রেজিস্ট্রেশন পায়। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই কাজ করে এই সংস্থাটি। বিশেষত, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা রয়েছে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এই ফাউন্ডেশন। আগামীদিনে তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলা। এইভাবেই এই সংস্থাটি এগিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।