নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪পরগণা – বুধবার বারাসাতে নির্বাচনী প্রচারে এসে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “গণতন্ত্রে গুলি করে মারার বিধানটা এত সহজ নয়।" চতুর্থ দফা নির্বাচনে যে অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, সেই কারণে নির্বাচনের স্পেশাল অবজারভার বিবেক দুবের নির্দেশ দিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। প্রয়োজনে পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে গুলি চালানোর মত কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।”
বিবেক দুবের এই নির্দেশের পরিপেক্ষিতে বিমান বসু বলেন, “গণতন্ত্রে গুলি করে মারার বিধানটা এত সহজ নয়। পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। সেখানে কাউকে দেখেই গুলি করে খুন করা যায় না। গুলি করার আগে অবশ্যই জানান দিতে হয়। ব্লাঙ্ক ফায়ার করতে হয়, টিয়ার গ্যাস মারতে হয়। তারপর গুলি চালানো হয় এবং সেটাও কোমরের নিচে। গুলি বুকে-পিঠে করা যায় না। এটা সামরিক শাসন না, এটা গণতান্ত্রিক শাসন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপব্যবহার হলে দেশের ক্ষতি হবে, গণতন্ত্র ধ্বংস হবে, স্বৈরাতন্ত্র চালু হবে।"
বিমান বাবু প্রশ্ন তোলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রান্ত হবে কেন, যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনীর আক্রান্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় দফায় তো এই ঘটনা ঘটেনি। তাহলে চতুর্থ দফায় গুলি চললো কেন?" কেন্দ্রীয় বাহিনীর আক্রান্ত হওয়ার কোনও ছবি এখনও সংবাদমাধ্যমের হাতে আসেনি এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বিমান বাবু বলেন, “এখন সবার হাতে মোবাইল, আধা সামরিক বাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই ছবি কোথায়? অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছে এমন একটা ছবি নেই। বললেই হবে তার প্রমাণ দিতে হবে। সেই প্রমাণ দেয়নি।"
বিমান বাবু আরও বলেন, "আমরা বলেছি কোনও কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হলে সেটা এপেক্স কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটা হাই পাওয়ার কমিশন নিয়োগ করে করতে হবে।” এছাড়া যদি পরবর্তী চারটি পর্যায়ে তৃণমূল-বিজেপি পরস্পর পরস্পরের উপর আক্রমণ করে সন্ত্রাস সৃষ্টি না করে, তাহলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেও মনে করেন বিমান বসু।