নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা - স্বাস্থ্য শিল্প, সমাজের প্রতিটা চিকিৎসককে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে এই জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালিত হয়। প্রথম জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে ১৯৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পালিত হয়েছিল। তেমনই ১ জুলাই ১৯৯১ সালে ভারতের জাতীয় চিকিৎসক দিবস প্রথম পালিত হয়।

প্রতি বছর ৩০ শে ১৯৩৩ সালে মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালন করা হয়। ডাঃ চার্লস বি অ্যালমন্ডের স্ত্রী ইউডোরা ব্রাউন অ্যালমন্ড চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে একটি দিন আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ৩০ শে মার্চ, ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ কর্তৃক ডাক্তার দিবসের স্মরণে একটি রেজোলিউশন গৃহীত হয়। 

১৯৯০ সালে, জাতীয় ডাক্তার দিবস প্রতিষ্ঠার জন্য হাউস এবং সেনেটে আইন প্রবর্তন করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদনের পর ৩০ অক্টোবর ১৯৯০ সালে, রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ এসজে আরইএসে স্বাক্ষর করেন। যা ৩০ শে মার্চকে "জাতীয় চিকিৎসক দিবস" হিসেবে পালিন করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রখ্যাত চিকিৎসক ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী স্মরণে ১লা জুলাই ভারতে জাতীয় চিকিৎসক দিবস উদযাপন করা হয়। এমনকি কিছু দেশে দিনটিকে ছুটির দিন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ আবার একজন সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ। তিনি মানুষের জন্য তার নিজের জীবন দান করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন।

সমাজে চিকিৎসকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসকেরাই এখন ভগবান।জাতীয় চিকিৎসক দিবস হল সেই চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানানোর দিন যারা সমাজের প্রতিটি রোগের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। সমাজকে রোগমুক্ত রাখার চেষ্টা করে চলেছেন তারাই। অতএব ১ জুলাই প্রতিটি চিকিৎসককে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।