ঝগড়ার দেবতা , জেনে নিন ব্রহ্মার মানসপুত্র দেবর্ষি নারদ সম্পর্কে

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪ IST
6515e879583ae_images - 2023-09-29T022341.238

অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - হিন্দু পুরাণ হল হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত অজস্র ঐতিহ্যবাহী কথামালার একটি বৃহৎ রূপ।এই হিন্দু পুরানে দেবী,দেবতা ও অসুরের বিভিন্ন কাহিনী বর্ণিত রয়েছে।তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন মুনি,ঋষিদের কাহিনী। এমনই একজন দেবর্ষি হলেন ব্রহ্মার মানসপুত্র নারদ। তাকে ঝগড়ার দেবতাও বলা হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে জেনে নিতে পারেন ব্রহ্মার মানসপুত্র দেবর্ষি সম্পর্কে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক মানসপুত্রর অর্থ কি ?

মানসপুত্র কী ?
পুরাণ মতে,প্রজাপতিরাই মানবজাতির আদিপিতা। সপ্তর্ষিরা ব্রহ্মার শরীর থেকে জাত হয়নি, হয়েছেন তার মন থেকে। একারণে তাদের মানসপুত্র বলা হয়।

নারদের সৃষ্টি কাহিনী - পুরাণমতে, ব্রহ্মা দেবর্ষি নারদকে সৃষ্টি করার ভার গ্রহণ করতে হয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বর সাধনা ও ভগবৎপ্রাপ্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টির আশঙ্কায় তিনি তাতে রাজি না হওয়ায়, ব্রহ্মার অভিশাপে নারদকে গন্ধর্ব ও মানব যোনিতে জন্মগ্রহণ করতে হয়েছিল।

চেহারা - হাতে বীণা সহযোগে দেবর্ষি নারদ যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে কারো সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করলেই যে কথাটি সর্বাগ্রে উচ্চারণ করেন তা হলো “নারায়ণ, নারায়ণ"মাথায় চুড়ো করে বাঁধা চুলে জড়ানো ফুলের মালা। গলায়, হাতে রুদ্রাক্ষ। মুখে সব সময় মধুর হাসি।পোশাকে গেরুয়া বস্ত্র।

নারদের যত্রতত্র যাতায়াত - দেবর্ষি নারদ অতিশয় হরিভক্ত ছিলেন। দেবর্ষি নারদ নিজের ইচ্ছায় যত্রতত্র গমন করতে পারতেন এবং সকল জায়গায়ই তার অবাধ যাতায়াত ছিলো। এছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে তিনি সকল ব্যাপারেই হস্তক্ষেপ করতেন।

ঘটকরূপে নারদ - আমরা সকলেই প্রায় দেবী সতীর দেহ ত্যাগের কাহিনী জানি।দক্ষ প্রজাপতির কন্যা দাক্ষায়ণী সতী পিতার মুখে স্বামী শিবের নিন্দা শুনে প্রাণত্যাগ করেছিলেন।কালান্তরে তিনি গিরিরাজ হিমালয় ও তার পত্নী মেনকার কন্যা পার্বতীরূপে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নারদ গিরিরাজের নিকট পার্বতীর পতিরূপে শিবের নাম উত্থাপন করেছিলেন। এভাবেই নারদ ঘটক হয়ে হর-পার্বতীর বিবাহ সংঘটন করে দিয়েছিলেন।

নারদীয় অভিশাপ - নারদ নলকুবের এবং মণিগ্রীবকে অভিশাপ দিয়েছিলেন।নলকুবের এবং মণিগ্রীব মদ্যপানে অত্যন্ত মত্ত হয়ে জল ক্রীড়া করেছিলেন। এই ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ নলকুবের এবং মণিগ্রীবকে শত বৎসরের জন্য অর্জুন বৃক্ষরূপে থাকার জন্য অভিশাপ দিয়েছিলেন। পরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্যে এসে তারা শাপমুক্ত হয়।

পুজো - জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য অনুযায়ী আজও শুক্লা নবমীতে মূল পুজোর পরও দুই দিন প্রতিমা রেখে দিয়ে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। জগদ্ধাত্রীর প্রতিমার পাশে জয়া-বিজয়া ও নারদ মুনির প্রতিমা থাকতে হয়।

মন্দির - উত্তরাখণ্ডের চামবোলি জেলায় অবস্থিত একটি মন্দির অবস্থিত তবে সারা বছর প্রায় এই মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।রাখি পূর্ণিমার দিন একমাত্র মন্দিরের দরজা খোলা হয়।মান্যতা আছে যে এই মন্দিরে দেবর্ষি নারদ বছরের অন্য দিনগুলিতে নারায়ণের পুজো করে থাকেন।

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online