অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়।
এই স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা হলেন বটুকেশ্বর দত্ত।আপনারা আগেও জেনেছেন বটুকেশ্বর দত্ত সম্পর্কে।তবে ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা বটুকেশ্বর দত্ত এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন তবে বিনিময়ে কিছুই পাননি।তাই তাঁর সম্পর্কে যতই বলা হয় ততই যেন তাঁর বলিদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জন্ম - বটুকেশ্বর দত্তের জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা।পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার ওঁয়াড়ি গ্রামে।তাঁর পিতা হলেন গোষ্টবিহারী দত্ত।ছোটবেলায় গ্রামে তিনি 'মোহন' নামে পরিচিত ছিলেন। জন্মের পর কিছুদিন ওঁয়াড়ি গ্রামে থাকার পর পিতা কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গেলে বটুকেশ্বর তাঁর সঙ্গেই বসবাস করতেন।
শিক্ষা - ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সেখানে থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেছিলেন। সেখানেই তিনি বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগৎ সিং এর সংস্পর্শে আসেন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে দল সংগঠনে প্রথমে আগ্রায়, পাঞ্জাব ও অন্যান্য স্থানে যাবেন। তাদের সংগঠনের নাম ছিল হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন।
বৈপ্লবিক কার্যকলাপ - তিনি বৈপ্লবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে গ্রেফতারের পর বিস্ফোরক আইনভঙ্গ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রহসন করেছিলেন ব্রিটিশ সরকার। জেলে তিনি এবং ভগৎ সিং ভারতীয় রাজনৈতিক জেল বন্দিদের সঙ্গে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দির অধিকারের দাবিতে এক ঐতিহাসিক অনশনের উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছিলেন।
তাদের জন্য কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হয়েছিলেন। এই অনশনে শহীদ হয়েছিল বিপ্লবী যতীন দাস। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বটুকেশ্বর মুক্তি পেলেও বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল। ১৯৪২ সালে আবার গ্রেফতার করেছিল তাকে অন্তরীন রাখা হয় ৩ বছর। তিনি এক ভালো জীবন পেতে পারতেন তবে তিনি সেই জীবন পাননি।
মৃত্যু - এই সর্বস্বত্যাগী বিপ্লবীর শেষ জীবন ছিল বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক । তিনি টিবি রোগাক্রান্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পেলেও স্বাধীন ভারতে তবে মূল্যায়ন হয়নি, দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে তাঁর জীবন কেটেছিল। ১৯৬৫ সালে ২০ জুলাই দিল্লির একটি হাসপাতালে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। এইভাবে বিপ্লবীর নক্ষত্রপতন হয়েছিল সর্বস্বত্যাগী বিপ্লবীর স্বাধীনতার পিছনে তাঁর অমূল্য অবদান থাকলেও জীবনের শেষ মুহূর্তে তিনি তাঁর যোগ্য মূল্য পাননি।
ম্যাচের শেষে ফলাফল ৪-৬, ৪-৬
১৯তম এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে ভারতীয়দের দাপট অব্যাহত
আজ ফের দুপুর দেড়টা নাগাদ অটোরিকশা মিছিল করবেন আদিবাসী সম্প্রদায়রা , নতুন করে ফের যানজটের সম্ভাবনা শহরে
তাদের এই রুপোলী মুহূর্তে গর্বিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
বিজেপির রাজ্য সভাপতি না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধই থাকবে কার্যালয় , হুঁশিয়ারি কর্মীদের
বান্ধবী ভেবে অভিযুক্ত মহিলাকে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন অন্য সেনা কর্মীরা স্ত্রীরা
আজ থেকেই সাগরে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর
রাজভবনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়েছে দুর্গাভারত সম্মান
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
সপ্তর্ষিরা ব্রহ্মার শরীর থেকে জাত হয়নি, হয়েছেন তার মন থেকে , একারণে তাদের মানসপুত্র বলা হয়
দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন
শুধু বিয়ে নয় , হানিমুনেও আপনার যথেষ্ট টাকা বাঁচবে এই পদ্ধতিতে
ব্রেকফাস্টেও চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন এই তালের ক্রেপস
এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হবে খুশকির সমস্যা