অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - হিন্দু পুরাণ হল হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত অজস্র ঐতিহ্যবাহী কথামালার একটি বৃহৎ রূপ, যা প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য।এই হিন্দু পুরানের অন্যতম দেবতা হলেন গণেশ। জৈন ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যেও গণেশ-ভক্তিবাদ মিশে গিয়ে গণেশ পুজোর প্রথা বিস্তার লাভ করেছে।
পিতা ও মাতা - গণেশের পিতা ও মাতা হলেন শিব পার্বতী।
নাম - ‘গণেশ’ নামটি একটি সংস্কৃত শব্দবন্ধ। ‘গণ’ ও ‘ঈশ’ শব্দদুটির সন্ধির মাধ্যমে এই শব্দটির উৎপত্তি। ‘গণ’ শব্দের অর্থ একটি গোষ্ঠী, সমষ্টি বা বিষয়শ্রেণি এবং ‘ঈশ’ শব্দের অর্থ হয় ঈশ্বর বা প্রভু।
গণেশের নামের পরিপ্রেক্ষিতে ‘গণ’ শব্দটির মাধ্যমে বিশেষভাবে একই নামের একপ্রকার উপদেবতার গোষ্ঠীকে বোঝায়।
চেহারা - গণেশের অনেক গুণাবলী রয়েছে, তবে তিনি সহজেই তাঁর হাতির মাথা দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিলেন।তাকে দণ্ডায়মান, নৃত্যরত, দৈত্যনাশে উদ্যত, শিশুরূপে পরিবারের সঙ্গে ক্রীড়ারত, মাটিতে বা সিংহাসনে উপবিষ্ট অবস্থায় অথবা বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অবস্থানে তাকে চিত্রিত করা হয়।
গণেশের মাথাটি হাতির এবং তাঁর উদরটি স্ফীত হয়। এই মূর্তিতে গণেশের চারটি হাত দেখা যায়। গণেশের চতুর্ভূজ মূর্তিই সর্বাধিক পরিচিত। নীচের ডান হাতে তিনি নিজের একটি ভাঙা দাঁত (তাঁর হস্তীমুণ্ডের বাইরের দাঁত) ধরে থাকেন। নীচের বাম হাতে থাকে একটি মিষ্টান্ন। এটি তিনি নিজের শুঁড় দিয়ে স্পর্শ করে থাকেন। গণেশের প্রাচীন মূর্তিগুলির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, শুঁড়টি বাঁ দিকে বাঁকানো থাকে, যাতে গণেশ তাঁর নীচের বাম হাতের মিষ্টান্নটি আস্বাদন করছেন, সেটি বোঝা যায়।
গণেশের মাথাটি হাতির এবং তাঁর উদরটি স্ফীত।মূর্তিতে গণেশের চারটি হাত দেখা যায়। গণেশের চতুর্ভূজ মূর্তিই সর্বাধিক পরিচিত। নীচের ডান হাতে তিনি নিজের একটি ভাঙা দাঁত (তার হস্তীমুণ্ডের বাইরের দাঁত) ধরে থাকেন। নীচের বাঁ হাতে থাকে একটি মিষ্টান্ন। এই মূর্তিতে তার অন্য দুটি হাতের চিত্রণ অস্পষ্ট। সাধারণ মূর্তিগুলিতে দেখা যায়, গণেশ উপরের একটি হাতে একটি কুঠার বা অঙ্কুশ ধরে আছেন এবং অপর হাতে ধরে আছেন একটি পাশ (ফাঁস)।
অল্প কয়েকটি মূর্তিতে দেখা যায়, তার হাতে রয়েছে একটি নরমুণ্ড। এই প্রাচীন মূর্তিতত্ত্বগত উপাদানগুলির প্রভাব গণেশের আধুনিক মূর্তিগুলির মধ্যেও দেখা যায়। অল্প কয়েকটি মূর্তিতে দেখা যায়,তাঁর হাতে রয়েছে একটি নরমুণ্ড।তাঁর গাত্রবর্ণ হলো রক্তিমাভ-স্বর্ণালি। অঙ্কুশ বা কুঠার তাঁর অস্ত্র। তাঁর আশিষ ভিন্ন কোনও ধর্মীয় সিদ্ধি সম্ভব নয় বলে মনে করা হত। তিনি সর্বদা ‘গণ’ নামে একটি নৃত্যগীতকারী দলের সঙ্গে বিরাজমান ও দেবতাদের রক্ষকরূপে কল্পিত হতেন। গণেশের বাহন ইঁদুর এই আদিম কোনও সংস্কারের প্রতীক।
সৃষ্টি - শিবপুরাণে উল্লিখিত উপাখ্যান অনুসারে, পার্বতী একদিন নন্দীকে দ্বারে নিযুক্ত করে স্নান করতে গিয়েছিলেন। এমন সময় শিব সেখানে উপস্থিত হলে, তিনি নন্দীকে তিরস্কার করে পার্বতীর স্নানাগারে প্রবেশ করেন। এতে পার্বতী অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
অবশেষে সখী জয়া ও বিজয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি জল থেকে পাঁক তুলে একটি সুন্দর পুত্রের মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন ও সেই মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তাকে নিজের বিশ্বস্ত অনুচর নিয়োগ করেছিলেন। এরপর একদিন এই কুমারকে দ্বারী নিয়োগ করে পার্বতী স্নানে গমন করলে শিব তথায় উপস্থিত হয়েছিল। কুমার শিবকে যেতে বাধা দিয়েছিলেন।
এতে প্রথমে প্রমথগণের সঙ্গে তার বিবাদ ও পরে পার্বতীর ইঙ্গিতে যুদ্ধ হয়েছিল। প্রমথগণ, বিষ্ণু ও সকল দেবতা এই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন। তখন নারদের পরামর্শে বিষ্ণু কুমারকে মোহাচ্ছন্ন করেছিলেন ও শিব শূলের দ্বারা তাঁর মস্তক ছিন্ন করেছিলেন। এই সংবাদ শুনে পার্বতী ক্রুদ্ধ হয়ে বিশ্বসৃষ্টি বিনষ্ট করতে উদ্যোগী হয়েছিল। নারদ ও দেবগণ তাকে শান্ত করেছিলেন।
পার্বতী তার পুত্রের পুনর্জীবন দাবি করেন ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন যেন এই পুত্র সকলের পূজ্য হয়। কিন্তু কুমারের মুণ্ডটি তখন আর পাওয়া যায় না। শিব তখন প্রমথগণকে উত্তরমুখে প্রেরণ করেছিলেন এবং যাকে প্রথমে দেখা যাবে তারই মস্তক নিয়ে আসতে বলেন। তাঁরা একটি একদন্ত হস্তিমুণ্ড নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ও দেবগণ এই হস্তিমুণ্ডের সাহায্যেই তাকে জীবিত করেছিলেন। অনন্তর শিব তাকে নিজপুত্র রূপে স্বীকার করেছিলেন। দেবগণের আশীর্বাদে এই কুমার সকলের পূজ্য হয়েছিল ও গণেশ নামে আখ্যাত হয়েছিলেন।
সঙ্গী - শিবপুরাণ অনুসারে, গণেশ ও কার্তিক বিবাহের জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন। তখন স্থির হয়, উভয়ের মধ্যে যে আগে বিশ্বপরিক্রমা করে আসতে পারবে তাঁর বিবাহ আগে হবে। কার্তিকেয় ময়ূরে আরোহণ করে বিশ্বপরিক্রমায় বের হয়েছিল। কিন্তু গণেশ শিব ও পার্বতীকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, শাস্ত্রমতে তিনি শতবার বিশ্বপরিক্রমা করলেন। এরপর বিশ্বরূপের দুই কন্যা সিদ্ধি ও বুদ্ধির সঙ্গে গণেশের বিবাহ হয়েছিল। সিদ্ধির পুত্র হয় লক্ষ্য ও বুদ্ধির পুত্র লাভ।
কার্তিক নারদের কাছ থেকে বিবাহের সংবাদ পেয়ে ফিরে আসেন ও মনের দুঃখে ক্রৌঞ্চ পর্বতে গিয়ে বাস করতে থাকেন। অন্য একটি মতে, তুলসী নামে এক নারী গণেশকে বিবাহ করতে চাইলে ব্রহ্মচর্যব্রতী গণেশ অসম্মত হয়েছিলেন। তিনি তুলসীর চিত্ত বৈকল্যের জন্য তাকে শাপ দেন দানবপত্নী হওয়ার। তুলসীও তাকে শাপ দিয়েছিলেন। ফলে পুষ্টি নামে এক নারীকে গণেশ বিবাহ করতে বাধ্য হয়েছিল।
মন্দির - মহারাষ্ট্র রাজ্যের ওয়াই; মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের উজ্জয়িনী রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর, নাগপুর ও রায়পুর,বিহার রাজ্যের বৈদ্যনাথ,গুজরাত রাজ্যের বরোদা, ধোলাকা ও ভালসাদ,উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বারাণসী শহরের ধূণ্ডিরাজ মন্দির।
দক্ষিণ ভারতের গণেশ মন্দিরগুলি হল তামিল নাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপল্লীতে জম্বুকেশ্বর মন্দির, ঐ রাজ্যের রামেশ্বরম ও সুচিন্দ্রমের মন্দির; কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পি, কাসারগোড় ও ইডাগুঞ্জি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ভদ্রাচলমের মন্দির।
পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে কোনও উল্লেখযোগ্য গণেশ মন্দির নেই। তবে ভারতের বাইরে নেপাল ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার নানান দেশে গণেশ মন্দিরের দেখা মেলে।আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন উপরের গণেশ মন্দিরগুলো থেকে।
দুর্ঘটনার জেরে উত্তাল গোটা স্টেশন চত্বর , এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
সপ্তম দিনের শেষে ভারত রয়েছে চতুর্থ স্থানে
ইস্টবেঙ্গল – ২
হায়দরাবাদ এফসি – ১
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
সুতীর্থা ও ঐহিকাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
একনজরে দেখুন কেন ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে আজকের দিন
এইমস কল্যাণীতে বিভিন্ন পদে ১৩৭ জন ছেলেমেয়ে নিয়োগ করা হবে
গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডে শিক্ষানবিশ পদে ২৪৬ জন ছেলেমেয়ে নিয়োগ করা হবে
ESIC-তে প্যারামেডিক্যাল স্টাফ পদে ১০৩৮ জন ছেলেমেয়ে নিয়োগ করা হবে
অ্যাথলেটিক্সের দ্বিতীয় দিনে জয়জয়কার ভারতীয়দের
ঘটনার পর আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে টয় ট্রেন চলাচল
ভারত - ১০
পাকিস্তান - ২
হাসপাতালে ভর্তি হবার পর কারোর যেন মৃত্যু না ঘটে , ডেঙ্গু নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর