অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - হিন্দু পুরাণ হল হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত অজস্র ঐতিহ্যবাহী কথামালার একটি বৃহৎ রূপ, যা প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য।এই হিন্দু পুরানের অন্যতম দেবতা হলো বিশ্বকর্মা।পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা হলো বিশ্বকর্মা। আপনারা চাইলে জেনে নিতে পারেন এই দেবতা সম্পর্কে।
চেহারা - বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। উভয়ের সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুড়ি ধারণ করেন, যা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তিনি যে শিল্পের দেবতা এই হাতুড়ি তাঁরই প্রতীক।
বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। উভয়ের সমতা বজায় রেখেছেন তিনি। এছাড়া তিনি হাতুড়ি ধারণ করেন, যা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তিনি যে শিল্পের দেবতা এই হাতুড়ি তারই প্রতীক।
ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ ছিলেন। তাঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সবদিকে পরিব্যাপ্ত ছিলেন। তিনি বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।
দেবত্ব - তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা ছিলেন।তাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।হিন্দুধর্মের স্থাপত্য বিষয়ক দেবতা হলো বিশ্বকর্মা।
কীর্তি ও স্থাপত্য - বিশ্বকর্মা দুটি ধনুক নির্মাণ করেছিলেন। একটি ত্রিপুরাসুর বধের জন্য শিবকে এবং অপরটি বিষ্ণুকে প্রদান করেছিলেন।বিশ্বকর্মা ব্রহ্মার জন্য নানা অলংকারে সজ্জিত পুষ্পক বিমান/রথ নির্মাণ করেছিলেন। শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছিলেন। বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীরও নির্মাতা।
পুজো - ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন ছিল সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পুজো করে থাকেন। প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। প্রতিবছর একইদিনে এই পুজো হয়, এর কোনো পরিবর্তন হয় না বিশেষ।