অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - হিন্দু পুরাণ হল হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত অজস্র ঐতিহ্যবাহী কথামালার একটি বৃহৎ রূপ, যা প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য।এই হিন্দু পুরাণের অন্যতম দেবতাই হলো মোহিনী। হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর একমাত্র নারী অবতার। যিনি তাঁর প্রেমিকদেরকে পাগল করে দেয়, এবং কখনও কখনও এর মাধ্যমে তাদেরকে মৃত্যুমুখেও নিয়ে যায়।
সৃষ্টি - মহাভারত অনুসারে বিষ্ণুর একটি রূপ হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ছিলেন এবং অমৃতের (অমর করে এমন একটি রস) পাত্র চুরি করা অসুরদের থেকে অমৃত নিয়ে এসে তিনি দেবতাদের দান করেছিলেন, যার ফলে দেবতারা অমরত্ব লাভ করেছিলেন।
অর্থ - মোহিনী নামটি ক্রিয়া প্রকৃতি মোহ্ থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে ছলনা করা বা মোনমুগ্ধ করা। আক্ষরিক অর্থে একে বিভ্রমের মানবরূপকে বুঝিয়েছে।
অমৃত - মোহিনীর মত দেবীর প্রথম সূত্র পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকের হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের সমুদ্রমন্থন পর্বে।অমৃত হচ্ছে অমরত্বের রস যা ক্ষীরসাগর (দুধের সাগর) এর মন্থনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই অমৃত লাভ করার জন্য দেবতা ও অসুরগণ যুদ্ধ করেছিলেন।
অসুরগণ অমৃত তাদের কাছে রাখার মতলব আঁটেন। বিষ্ণু তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং তিনি একজন আকর্ষণীয় কুমারীর আকার ধারণ করেন, এবং অসুরদের সঙ্গে ছলনা করেন যার ফলে অসুরগণ তাকে অমৃত দান করে দেয়। এরপর তিনি দেবতাদেরকে অমৃত বণ্টন করে দেন। মোহিনীকে সরলভাবে বিষ্ণুর আকর্ষণীয় নারী রূপ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে মোহিনীকে বিষ্ণুর মায়া (বিভ্রম) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মন্দির - মোহিনী দেবতার দর্শন করতে চাইলে আপনাদের পশ্চিম ভারতে ঘুড়ে আসতে হবে। এখানকার বিভিন্ন স্থাপত্যে মোহিনী দেবতার নিদর্শন রয়েছে।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।