অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়।মদনমোহন মালব্য ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ।
জন্ম - মদনমোহন মালব্য জন্ম গ্রহন করেছিলেন ২৫ ডিসেম্বর ১৮৬১সালে এলাহাবাদে, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, ভারত)।
শিক্ষা - ১৯১৬ সালে মদনমোহন মালব্য বারাণসীতে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বি.এইচ.ইউ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯১৫ সালের বি.এইচ.ইউ আইন অনুসারে স্থাপিত হয়েছিল। এটি এশিয়ার বৃহত্তম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, কৃষিবিজ্ঞান, চারুকলা, আইন ও প্রযুক্তি বিভাগে ৩৫,০০০-এরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেছিলেন।
রাজনৈতিক কার্যকলাপ - ১৮৮৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মদনমোহন মালব্য কলকাতায় দাদাভাই নৌরজির সভাপতিত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।এখানে তিনি কাউন্সিলে ভারতীয়দের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তার ভাষণে নৌরজি খুশি হয়েছিলেন।
সেই সময় এলাহাবাদের নিকটস্থ কালাকঙ্করের শাসক রাজা রামপাল সিং হিন্দুস্তান নামে একটি হিন্দি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি পত্রিকাটিকে দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত করার জন্য একজন যোগ্য সম্পাদক খুঁজছিলেন। তবে তিনি পত্রিকা সম্পাদনার জন্য তাকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
১৯০৯ ও ১৯১৮ সালে মদনমোহন মালব্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।১৯১৬ সালের লখনউ চুক্তি অনুসারে মুসলমানদের জন্য পৃথক আইনসভার বিরোধিতা করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী তাকে "মহামনা" সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।
তাছাড়া ১৯২৮ সালে তিনি মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহেরু ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ১৯৩২ সালের ৩০ মে, বিলাতি দ্রব্য বর্জন করে ভারতীয় দ্রব্য কেনার আবেদন জানিয়ে একটি ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছিলেন।১৯৩০ সালে তিনি প্রথম গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এর কিছু বছর পর ১৯৩৩ সালে কলকাতায় মদনমোহন মালব্য আবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৩২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ড. ভীমরাও রামজী আম্বেদকর (হিন্দুদের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি) ও মদনমোহন মালব্যের (হিন্দুদের অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধি) মধ্যে পুনা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে এই দল কেন্দ্রীয় আইনসভায় ১২টি আসন পেয়েছিল।
সাংবাদিকতা - ১৮৮৭ সালে হিন্দি দৈনিক হিন্দুস্তান-এ সম্পাদনার মাধ্যমে মদনমোহন মালব্য তাঁর সাংবাদিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৮৮৯ সালে তিনি দি ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন পত্রিকার সম্পাদনার কাজ শুরু করেছিলেন। ১৮৮৩-৮৪ সালের মধ্যে ‘মকরন্দ’ ছদ্মনামে লেখা তার শায়েরি বা হিন্দি কবিতাগুলি বিশিষ্ট সাহিত্যিক ভারতেন্দু হরিশ্চন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত হরিশ্চন্দ্র চন্দ্রিকা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
পরবর্তীতে ১৮৯১ সালে মদনমোহন মালব্য এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি পাস করে এলাহাবাদ জেলা আদালতে ওকালতি শুরু করেছিল।
সমাজসেবা - ভারত থেকে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও হরিজন আন্দোলনকে পরিচালনার ক্ষেত্রে মদনমোহন মালব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে তার সভাপতিত্বে আয়োজিত একটি সম্মেলনে হরিজন সেবক সংঘ স্থাপিত হয়েছিল। তাকে মহামনা সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল।
মৃত্যু - মদনমোহন মালব্য ১২ নভেম্বর ১৯৪৬ সালের ৮৪ বছর বয়সে বারাণসীতে মারা গিয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতা না দেখতে পারলেও স্বাধীনতায় তাঁর অবাদান ছিল অনস্বীকার্য। যা আজও তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন
জেনে নিন মৃগী রোগের হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন যোগাসন করবেন
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
যারা ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত, তারা সকলেই বসির চাচাকে চেনেন
ভারত – ৪
জাপান - ২
কোনোরকম ওটিপি শেয়ার না করার পরেও উধাও টাকা , ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ যুবক
বৃহস্পতিবার বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই জানা গেল অক্ষর প্যাটেল নন রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলবেন
ভারত – ০
সৌদি আরব – ২
পাকিস্তানের ৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে অবস্থিত
একনজরে দেখুন কেন ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে আজকের দিন
রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই অভিষেককে ডেকে পাঠানো ইডির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে , তোপ কুনালের