অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়।ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন মদনমোহন মালব্য।
জন্ম পরিচয় - মদনমোহন মালব্য ১৮৬১ সালের ২৫ ডিসেম্বর এলাহাবাদে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।তিনি এক গৌড় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম পণ্ডিত ব্রিজ নাথ ও মাতার নাম মুনা দেবী। তিনি ১৮৬১ সালের ২৫ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশের (অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য) এলাহাবাদ শহরে মদনমোহন মালব্যের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষা - মদনমোহন মালব্য বারাণসীতে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বি.এইচ.ইউ) প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯১৫ সালের বি.এইচ.ইউ আইন অনুসারে স্থাপিত হয়েছিল। এটি এশিয়ার বৃহত্তম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কলা, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, কৃষিবিজ্ঞান, চারুকলা, আইন ও প্রযুক্তি বিভাগে ৩৫,০০০-এরও বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেছিলেন। মদনমোহন মালব্য ১৯১৯ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে ভর্তি হতে চাইলেও তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তার পিতা তাকে পারিবারিক পেশা ভাগবত পাঠের কাজে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। ১৮৮৪ সালে মদনমোহন মালব্য এলাহাবাদের গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
বৈপ্লবিক কর্মকান্ড - ১৮৮৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মদনমোহন মালব্য কলকাতায় দাদাভাই নৌরজির সভাপতিত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখানে তিনি কাউন্সিলে ভারতীয়দের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাঁর ভাষণে নৌরজি খুশি হননি। সেই সময় এলাহাবাদের নিকটস্থ কালাকঙ্করের শাসক রাজা রামপাল সিং হিন্দুস্তান নামে একটি হিন্দি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি পত্রিকাটিকে দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত করার জন্য একজন যোগ্য সম্পাদক খুঁজছিলেন। মদনমোহন মালব্যের ভাষণে তিনিও খুশি হননি। কিন্তু পত্রিকা সম্পাদনার জন্য তিনি তাকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাই ১৮৮৭ সালের জুলাই মাসে মদনমোহন মালব্য শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে সেই জাতীয়তাবাদী দৈনিকটির সম্পাদনার কাজ শুরু করেছিলেন।
সেখানে তিনি আড়াই বছর কাজ করেছিলেন। এরপর তিনি এলাহাবাদ ফিরে এসে এল.এল.বি পড়া শুরু করেছিলেন।
১৯০৯ ও ১৯১৮ সালে মদনমোহন মালব্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন একজন নরমপন্থী নেতা। ১৯১৬ সালের লখনউ চুক্তি অনুসারে মুসলমানদের জন্য পৃথক আইনসভার বিরোধিতা করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী তাকে "মহামনা" সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।
১৯১১ সালে শিক্ষাবিস্তার ও সমাজসেবার জন্য তিনি তার লাভজনক আইনব্যবসা চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে হিন্দি দৈনিক হিন্দুস্তানে সম্পাদনার মাধ্যমে মদনমোহন মালব্য তার সাংবাদিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৮৮৯ সালে তিনি দি ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন পত্রিকার সম্পাদনার কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯০৭ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
১৯২৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত মদনমোহন মালব্য ছিলেন এই পত্রিকার চেয়ারম্যান। ১৯৩৬ সালে তারই উদ্যোগে এই পত্রিকার হিন্দি সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে বিড়লা পরিবার এই পত্রিকার মালিক। ১৯৩৩ সালে মালব্য কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনাতন ধর্ম নামে একটি ধর্মীয় পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।
দেহ ত্যাগ - ১৯৪৬ সালের ১২ নভেম্বর বারাণসীতে মদনমোহন মালব্য দেহ ত্যাগ করেছিলেন
জেনে নিন মৃগী রোগের হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন যোগাসন করবেন
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
যারা ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত, তারা সকলেই বসির চাচাকে চেনেন
ভারত – ৪
জাপান - ২
কোনোরকম ওটিপি শেয়ার না করার পরেও উধাও টাকা , ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ যুবক
বৃহস্পতিবার বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই জানা গেল অক্ষর প্যাটেল নন রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলবেন
ভারত – ০
সৌদি আরব – ২
পাকিস্তানের ৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে অবস্থিত
একনজরে দেখুন কেন ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে আজকের দিন
রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেই অভিষেককে ডেকে পাঠানো ইডির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে , তোপ কুনালের
আরও ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে
লিপস অ্যান্ড বাউন্স মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি নিয়ে তাদের সশরীরে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
রাজকুমার হিরানির ডাঙ্কি ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গেও দেখা যাবে তাকে