অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস ও বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল।এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যতম ছিলেন মনোরঞ্জন গুপ্ত।
জন্ম - মনোরঞ্জন গুপ্তর জন্ম হয়েছিল ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ব্রিটিশ ভারতের ( অধুনা বাংলাদেশের) বরিশালের আধুনা নামক এক গ্রামে।তাঁর পিতার নাম ছিল দীনবন্ধু গুপ্ত।
শিক্ষা - তিনি বাটাজোড় উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেছিলেন। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ হতে আই.এ ও ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পাশ করেছিলেন। কলেজের সহপাঠী হীরালাল দাসগুপ্ত ছিল তার বাল্য বন্ধু। তারা ছাত্রাবস্থায় বরিশাল শঙ্কর মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতীর (ব্রহ্মচারী সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের) নিকট বিপ্লবী দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি 'বরিশাল দলে' যোগ দিয়েছিলেন।
বিপ্লবী কার্যকলাপ - কলকাতায় আসার আগেই বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে যে তিনটি ডাকাতি হয় তাঁর প্রত্যেকটিতে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার পরিচালনায় ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ ই নভেম্বর কলকাতা মসজিদবাড়ি স্ট্রিটে একটি বাড়িতে পুলিশ ইনস্পেক্টর গিরীন মুখার্জি নিহত হয়েছিলেন এবং ২ রা ডিসেম্বর করপোরেশন স্ট্রিটের এক সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। প্রথম ঘটনায় তার সঙ্গে ছিলেন ভূপতি মজুমদার ও আলিপুরদুয়ারের প্রখ্যাত ডাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ দত্ত।
বিপ্লবী নরেন ঘোষ চৌধুরীর অতি ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরূপে বহু রোমহর্ষক কাজের অংশীদার ছিলেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে তিন আইনে গ্রেপ্তার হয়ে রাজবন্দি হিসাবে সাড়ে চার বছর বন্দী ছিলেন।১৯২১ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনকালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন তার ও জিতেন্দ্রনাথ দত্তের উপর বরিশালের আন্দোলন সংগঠনের ভার অর্পণ করেছিলেন।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রেসের কাজ আরম্ভ করে তিনি তার প্রথম ম্যানেজার হয়েছিলেন। ওই বছরই যুগান্তর দলের সদস্য ভূপতি মজুমদার ও মনোরঞ্জন গুপ্ত যথাক্রমে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হয়েছিলেন এবং নেতৃস্থানীয় আরও অনেকের সঙ্গে মনোরঞ্জন গুপ্ত গ্রেফতার হয়ে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ছাড়া পেয়েছিলেন।১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি লাহোর কংগ্রেস অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় পুলিশ কমিশনার টেগার্ট সাহেবের উপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন। ফেরারি অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ১৯৩৮ সালে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
তিনি বিপুল ভোটে এমএলএ পদে জয়লাভ করেন। তিনি ১৯৫০ সনে বরিশালে দাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে কলকাতায় চলে আসেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ আইনসভায় ১৫ বছর এম.এল.সি ছিলেন।
মৃত্যু - মনোরঞ্জন গুপ্ত মারা গিয়েছিলেন ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই অক্টোবরে।
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন
এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হবে খুশকির সমস্যা
জেনে নিন মৃগী রোগের হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন যোগাসন করবেন
একনজরে দেখুন রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার দিন
ফের রুপোর দাম নিম্নমুখী
ফের সোনার দাম নিম্নমুখী
যারা ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত, তারা সকলেই বসির চাচাকে চেনেন
ভারত – ৪
জাপান - ২
কোনোরকম ওটিপি শেয়ার না করার পরেও উধাও টাকা , ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ যুবক
বৃহস্পতিবার বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতেই জানা গেল অক্ষর প্যাটেল নন রবিচন্দ্রন অশ্বিন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলবেন
ভারত – ০
সৌদি আরব – ২
পাকিস্তানের ৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে অবস্থিত
একনজরে দেখুন কেন ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে আজকের দিন