অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস ও বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই আন্দোলনে অনেকেই আছেন যারা সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন।বলি হয়েছিল শত শত তাজা প্রাণ।এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরই অন্যতম হলেন অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী।আপনারা চাইলে জেনে নিতে পারেন স্বাধীনতা সংগ্রামী অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী সম্পর্কে।
জন্ম - অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তীর জন্ম হয়েছিল ১৯০৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাসে।তিনি রামচন্দ্রপুর পুরুলিয়ায় (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ) জন্মে ছিলেন।
পরিবার - যুগলকিশোর চক্রবর্তী হলেন অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তীর পিতা।অন্নদাপ্রসাদের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। তারা পুরুলিয়ার পঞ্চকোট রাজ পরিবারের কূলপুরোহিত হয়ে আসেন এবং রাজ পরিবারের দাক্ষিণ্যে রামচন্দ্রপুরের জমিদারি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
শিক্ষা - বাল্যকালেই অন্নদাপ্রসাদের অন্তরে বিপ্লবী চেতনার প্রকাশ পায়। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ই ডিসেম্বর পঞ্চম জর্জের 'দরবার উৎসবে' বিদ্যালয়ে জয় জয়তু পঞ্চম জর্জ জয় হে ভারত ভূপতি গান গাইতে অস্বীকার করেকলেন। শাস্তি পেয়েও তীব্র ধিক্কার জানিয়েছিলেন।
বিপ্লবী কর্মকান্ড - অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তীর বয়স যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে স্বদেশপ্রেম আর ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি মানভূম থেকে বর্ধমান পর্যন্ত বিস্তৃত করেন তাঁর বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপ আর সেই সঙ্গে দুঃস্থদের সেবা ও সমাজসেবা। নিরক্ষরকে অক্ষর জ্ঞান দিতে নৈশ বিদ্যালয় আর নারীশিক্ষার প্রসারে খুলেছিলেন মহিলা স্কুল।পরবর্তীতে তিনি আদিবাসী সাঁওতালদের সংঘবদ্ধ করতে হয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে উঠেছিলেন অন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী। ব্রিটিশের এই অত্যাচারে সুভাষ জোরদার আন্দোলনের ডাক দেন এবং তাঁর সেই ডাকে মানভূম এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। জনজাতির মানুষজন লাগাতার বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন।
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে এক শীতের রাতে সুভাষচন্দ্র বসু অন্নদাপ্রসাদের সঙ্গে মোটরগাড়িতে কলকাতার উদ্দেশ্যে আদ্রা রেলস্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য যাচ্ছিলেন। পথের মাঝে এক দৃষ্টিহীন দরিদ্র মানুষ গাড়ির সামনে এসে পরেন। সুভাষচন্দ্র তাকে দরিদ্র নিপীড়িত মানুষজনের জন্য এক দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল গড়তে অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ১৬ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের মহানিষ্ক্রমণের পর অন্নদাপ্রসাদ 'মন্দির' কাব্যের কবি ও কাশীর শ্রীশ্রীবিজয়কৃষ্ণ মঠের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী কিরণচাঁদ দরবেশের কাছে দীক্ষা নিয়ে তিনি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ধর্মগুরুর নির্দেশে সন্ন্যাস নেন এবং তাঁর নতুন নাম হয় স্বামী অসীমানন্দ সরস্বতী।
তিনি নেতাজীর কাছে কথা রাখার জন্য ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে জানুয়ারি রামচন্দ্রপুরে দুঃস্থ চক্ষুরোগীদের জন্য খুলে ছিলেন নেতাজী আই হসপিটাল এবং মোটামুটি একক প্রচেষ্টায় হাসপাতালটির উন্নয়নও করেছিলেন।
মৃত্যু - অন্নদাপ্রসাদ তথা বিপ্লবী সন্ন্যাসী স্বামী অসীমানন্দ সরস্বতী ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্টে এই মহান ব্যক্তির জীবনাবসান হয়েছিল।
ম্যাচের শেষে ফলাফল ৪-৬, ৪-৬
১৯তম এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে ভারতীয়দের দাপট অব্যাহত
আজ ফের দুপুর দেড়টা নাগাদ অটোরিকশা মিছিল করবেন আদিবাসী সম্প্রদায়রা , নতুন করে ফের যানজটের সম্ভাবনা শহরে
তাদের এই রুপোলী মুহূর্তে গর্বিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
বিজেপির রাজ্য সভাপতি না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধই থাকবে কার্যালয় , হুঁশিয়ারি কর্মীদের
বান্ধবী ভেবে অভিযুক্ত মহিলাকে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন অন্য সেনা কর্মীরা স্ত্রীরা
আজ থেকেই সাগরে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর
রাজভবনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়েছে দুর্গাভারত সম্মান
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
সপ্তর্ষিরা ব্রহ্মার শরীর থেকে জাত হয়নি, হয়েছেন তার মন থেকে , একারণে তাদের মানসপুত্র বলা হয়
দেখে নিন কিভাবে বাঁশকে সুন্দর কারুকার্য করে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করবেন
শুধু বিয়ে নয় , হানিমুনেও আপনার যথেষ্ট টাকা বাঁচবে এই পদ্ধতিতে
ব্রেকফাস্টেও চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন এই তালের ক্রেপস
এই পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই দূর হবে খুশকির সমস্যা