অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলন ও ভারতের সর্ববস্তরের মানুষ এর মিলিত আন্দোলনের ফলে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়েছিল।এই স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন উবায়দুল্লাহ সিন্ধি।
জন্ম - ১৮৭২ সালের ১০ মার্চ উবায়দুল্লাহ সিন্ধি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। উবাইদুল্লাহ সিন্ধি শিয়ালকোটের একটি শিখ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
পরিবার - উবায়দুল্লাহ সিন্ধির পিতা তাঁর জন্মের চার মাস আগে ইন্তেকাল করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষা - ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করা শুরু করি তখন সিন্ধু ও মুলতানের কিছু শিক্ষকের কাছে নাহু- সরফের পাঠ গ্রহণ করেছিলেন। এইসময় হজরত মাওলানা আবুস সিরাজ গোলাম মুহাম্মদ দিনপুরীর সান্নিধ্যে ছয় মাস অবস্থান করে ছিলেন। দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি মাওলানা রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি ও মাওলানা মাহমুদুল হাসানের মত তৎকালীন ইসলামি পন্ডিতদের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তিনি ১৯০৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে ফিরে আসেন এবং ধীরে ধীরে প্যান-ইসলামি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।
বৈপ্লবিক কার্যকলাপ - ১৯০৯ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে ফিরে এসেছিলেন এবং ধীরে ধীরে প্যান-ইসলামি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মাওলানা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে অক্ষশক্তির সাহায্যে ভারতে একটি প্যান ইসলামি আন্দোলনের জন্য ভারত ত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে অন্যতম। এই ঘটনা পরবর্তীতে রেশমি রুমাল আন্দোলন নামে পরিচিতি পেয়েছিল।
যুদ্ধের সময় তিনি আফগান আমির হাবিবউল্লাহ খানের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাবুল গিয়েছিলেন। সংক্ষিপ্ত সময় পর তিনি জার্মান সমর্থনে ভারতে বিপ্লবের জন্য রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের পরিকল্পনায় নিজের সমর্থন জানিয়েছিলেন। ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে কাবুলে গঠিত ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানে অবস্থান করেন এবং রাশিয়া চলে গিয়েছিলেন।
এরপর বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে তিনি তুরস্কে যান এবং সেখানে দুই বছর অবস্থান করেছিলেন। এরপর তিনি হেজাজ যান। সেখানে তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কর্মজীবনের প্রথমদিকে তিনি প্যান ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি প্যান ইসলামি চিন্তা থেকে সরে আসেন। দেওবন্দি উলামাদের নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
মৃত্যু - ১৯৪৪ সালের ২২ আগস্ট ৭২ বছর বয়সে উবায়দুল্লাহ সিন্ধি দেহ ত্যাগ করেছিলেন।
আজকের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আগামীকাল প্রকাশিত হবে
ভারত – ৩
হংকং – ০
প্রাইমারী TET পরীক্ষা প্রস্তুতিতে আজ গণিত
ANM & GNM প্রস্তুতিতে আজ সাধারণজ্ঞান
ম্যাচের শেষে ফলাফল ৪-৬, ৪-৬
১৯তম এশিয়ান গেমসে শুটিংয়ে ভারতীয়দের দাপট অব্যাহত
আজ ফের দুপুর দেড়টা নাগাদ অটোরিকশা মিছিল করবেন আদিবাসী সম্প্রদায়রা , নতুন করে ফের যানজটের সম্ভাবনা শহরে
তাদের এই রুপোলী মুহূর্তে গর্বিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী
সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ টি সোনা এসেছে ভারতে
বিজেপির রাজ্য সভাপতি না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধই থাকবে কার্যালয় , হুঁশিয়ারি কর্মীদের
বান্ধবী ভেবে অভিযুক্ত মহিলাকে বিশ্বাস করে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন অন্য সেনা কর্মীরা স্ত্রীরা
আজ থেকেই সাগরে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর
রাজভবনের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয়েছে দুর্গাভারত সম্মান
হলুদ,চিনি,লেবু দিয়েই উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন ঠোঁট
সপ্তর্ষিরা ব্রহ্মার শরীর থেকে জাত হয়নি, হয়েছেন তার মন থেকে , একারণে তাদের মানসপুত্র বলা হয়