অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ - হিন্দু পুরাণ হল হিন্দুধর্ম সংক্রান্ত অজস্র ঐতিহ্যবাহী কথামালার একটি বৃহৎ রূপ। হিন্দু পুরানে বিভিন্ন দেব দেবীর উল্লেখ রয়েছে।ন্যায় অন্যান্য হিন্দু রচনা এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সাহিত্যে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষিত রয়েছে এই পুরাণে। হিন্দু পুরানের দেবদেবীদের মধ্যে অন্যতম হলেন অন্নপূর্ণা দেবী।
চেহারা - অন্নপূর্ণা দেবী হলেন দ্বিভুজা ত্রিনয়নী , তাঁর দুই হাতে অন্নপাত্র ও দর্বী, তিনি রক্তবর্ণা , সফরাক্ষী, স্তনভারনম্রা, বিচিত্র বসনা , নিয়ত অন্নপ্রদায়িনী ও ভবদুঃখহন্ত্রী , তাঁর মস্তকে নবচন্দ্রকলা , একপাশে ভূমি ও অন্যপাশে শ্রী। নৃত্যপরায়ণ শিবকে দেখে তিনি হর্ষিতা।
অন্নপূর্ণা এক হিন্দু দেবী। তাঁর অপর নাম অন্নদা। তিনি শক্তির অপর রূপ।
পুজো - চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে অন্নপূর্ণার পুজো করা হয় , শান্তিপুর ধামে মাঘীপূর্ণিমা ও বৌদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে যথাক্রমে বড়বাজারে ও আমড়াতলা বারোয়ারীতে এবং নবদ্বীপ ধামে রাস পূর্ণিমা তিথিতে বৌবাজার বারোয়ারী অন্নপূর্ণা পুজো পালন করা হয়ে থাকে৷অন্নপূর্ণা পুজো কালী ও জগদ্ধাত্রী পূজার মতোই তান্ত্রিক পুজো।
অন্নদামঙ্গল কাব্যের মাহাত্ম্য - অন্নদামঙ্গল রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রচিত একটি মঙ্গলকাব্য।বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগের অবসানে মঙ্গলকাব্যের সূচনা হয়।ভারতচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষক নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলায় প্রতিমায় দেবী অন্নপূর্ণার পুজো প্রচলন করেন। এরপরে বসুন্ধর ও নলকুবেরের হরিহোড় ও ভবানন্দ মজুমদার রূপে মর্তে আগমন , দেবীর হরিহোড়ের গৃহে প্রবেশ , এরপর দেবীর হরিহোড়ের গৃহত্যাগ ও ভবানন্দের গৃহে আগমন প্রভৃতি কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।অন্নদামঙ্গল কাব্যে দেবীর মাহাত্ম্য বর্ণিত রয়েছে।
মন্দির - চাণক অন্নপূর্ণা মন্দির হলো পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর-টিটাগড় অঞ্চলের একটি সুপ্রসিদ্ধ অন্নপূর্ণা মন্দির। আপনারা চাইলে এই স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।