নিজস্ব প্রতিনিধি , আমেদাবাদ - আগামী ১ লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার পূর্বেই গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। গত ২৭ বছর ধরে এ রাজ্য শাসন করছে বিজেপি। তাই এবারেও ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাবে তারা। নির্বাচনী প্রচারের মুখ হিসেবে রাজ্য সরকার গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গুজরাতের একচুল মাটিও ছাড়তে নারাজ বিজেপি সরকার। তাই নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে তারা। আজ থেকে ৩ দিনের গুজরাত সফরে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই ছিলেন এ রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী। আজ থেকে সেখানে বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশ রয়েছে তার। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কোমর বেঁধে নেমেছেন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে। তাপি ও নর্মদা জেলায় দুটি জনসভা করবেন তিনি।

আজ গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সফর শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর তিনি অংশ গ্রহণ করবেন সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের চারটি জনসভায়। ভেরাভাল, ধোরারজি, আমরেলি এবং বোটাদে আজ ভাষণ দেবেন তিনি।

প্রতিটি বুথে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে গির সোমনাথ মন্দির থেকে জনগণের কাছে আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমি চাই আপনারা নিশ্চিত করুন যে এখানে প্রতিটি বুথে বিজেপিই জিতবে। আপনারা কি আমার জন্য এটা করতে পারবেন? এইবার, আমার ফোকাস সব ভোটকেন্দ্রে জয়ী হওয়া। আপনারা যদি  আমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করেন, তাহলে এই চারজন বিজেপি প্রার্থী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিধানসভায় পৌঁছাবেন।"

১ লা ডিসেম্বর গুজরাত বিধানসভার প্রথম দফায় ১৮২টি আসনের মধ্যে ৮৯টি আসনের জন্য ভোট হবে। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭০ জন মহিলা সহ মোট ৭৮৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ৯৩ টি আসনের জন্য মোট ১,৫১৫ মনোনয়নপত্র পেয়েছে৷ দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আয়োজিত হবে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর। ভোট গণনা হবে ৮ ই ডিসেম্বর। অর্থাৎ হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাত নির্বাচনের ফলাফল একদিনেই আসবে।