নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার - শনিবার চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর পর ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে শীতলকুচি যেতে দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই রবিবার শিলিগুড়ি থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রী কে ঢুকতে পারেননি শীতলকুচি। কিন্তু সেদিনই তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন ৭২ ঘণ্টা কাটলেই তিনি যাবেন শীতলকুচি। মঙ্গলবার রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতেই বারাসাতের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও জানিয়ে দিলেন, বুধবারই তিনি শীতলকুচি যাচ্ছেন । দেখা করবেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে।
প্রথমে ঠিক ছিল, বুধবার সকালে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে যাবেন মমতা। কিন্তু বারাসতের সভা থেকে এদিন তিনি জানিয়ে দিলেন, “আমি কাল সকালেই শীতলকুচি যাব”। এদিন মমতা বলেন, “শীতলকুচিতে আমি বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে চাইব। আমি কখনই কারও মধ্যে ভাগাভাগি করি না। আমার দলের লোক মারা গেলেও আমার কষ্ট হবে অন্য দলের লোকের মৃত্যুতেও আমার কষ্ট হবে”।
প্রসঙ্গত শীতলকুচিতে ৭২ ঘণ্টার প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার পরই ফুঁসে উঠেছিলেন মমতা। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৭২ ঘণ্টা পরেই যাবেন শীতলকুচি। তবে নিয়ম মেনে মাথাভাঙা না গেলেও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। জানিয়েছিলেন, ৭২ ঘণ্টা কাটলেই তিনি পৌঁছে যাবেন অসহায় মানুষগুলোর কাছে। নিজের কথা রাখতে বুধবার সকালেই শীতলকুচিতে পা রাখছেন মমতা।