নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর থেকেই বড় ধাক্কা সম্মুখীন হয়েছে অর্থনীতি। বিশেষত গ্রামীণ শিল্পে পড়েছে প্রকোপ। এমতাবস্থায় গ্রামীণ শিল্পে গতি আনতে অভিনব উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের। কলকাতা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে গ্রামকৃষ্টি উৎসব।
বর্ষ শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অভিনব এই মেলা যেন এক টুকরো গ্রামকে তুলে ধরেছে। এই গ্রামকৃষ্টি উৎসবে গ্রামীণ শিল্পকলা, খাদ্যদ্রব্যসহ রকমারি পণ্য উপলব্ধ রয়েছে। প্রতিটি পণ্যে রয়েছে গ্রামের আন্তরিকতার ছোঁয়া। সুলভ মূল্যে এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে, নকশী কাঁথার বস্ত্র, টেরাকোটার গহনা, মিনাকারি গহনা, পটচিত্র, মাদুরের কাজ, ঘি, মধু, বিখ্যাত মোয়া সহ একাধিক খাদ্যদ্রব্য।
ইতিমধ্যেই ২৪ শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ৬ দিনব্যাপী মেলার শুভ সূচনা হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২ টো থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত, এই মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। কলকাতা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণের এই মেলার দ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্ষশেষে শীতের স্নিগ্ধ পরিবেশে এ যেন এক অনন্য উপহার কলকাতাবাসীর কাছে।
গ্রামীণ পণ্য দ্রব্য ছাড়াও, গ্রামকৃষ্টি উৎসব উপলক্ষ্যে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন গ্রামের লোকশিল্পীরা। গম্ভীরা, ছৌ, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, ফকিরি, হাছনরাজা, কবি গান অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে বাউল গান ও রাভা নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ শে ডিসেম্বর ঝুমুর গান ও গম্ভীরা পালা, ২৬ শে ডিসেম্বর ২৭ শে ডিসেম্বর হাছনরাজার গান ও রায়বেঁশে নৃত্য ২৯ শে ডিসেম্বর কবিগান ও ছৌ নৃত্য পরিবেশিত হবে।
গ্রামকৃষ্টি উৎসব প্রসঙ্গে কলকাতা প্রেসক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে ভাটা পড়ে এই উৎসবে। চলতি বছরে বিধিনিষেধ শিথিল হতেই ফের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বল্প পরিসরে এই মেলা হলেও, একটুকরো বাংলাকে, বাংলার কৃষ্টিকে, বাংলার সংস্কৃতিকে, বাংলার কুটির শিল্পকে তুলে আনা হয়েছে এই কলকাতা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে। এখানে বাঙালির যে কুটির শিল্পের ওপর দাঁড়িয়ে বাঙালির কৃষ্টি-কালচার-পরম্পরা, বাঙালির পরিচয়, সেই গুলো যেমন - জয়নগরের মোয়া, মাদুর শিল্পী, ছৌ নাচ, গম্ভীরা, টেরাকোটা, ডোকরার কাজও দেখা যাবে।
কিংশুক প্রামাণিক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত বিভিন্ন দিক থেকে অজস্র শিল্পী এখানে আসছেন, তারা কেউ কেউ পারফর্ম করবেন, আবার কেউ কেউ মেলায় পসরা সাজিয়ে বসবেন। গোটা কলকাতাজুড়ে অনেক মেলা হয়, কিন্তু এই মেলার বিশেষত্ব হল এটাই যে কলকাতা প্রেস ক্লাবের বুকে একখন্ড গ্রাম।
এই ফুটবল প্রতিযোগিতায়
চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ণব অন্বেষা সম্প্রীতি একাদশ।
শিশির মঞ্চে বিভাব নাট্য একাডেমি মঞ্চস্থ করলো তাদের দুটি নতুন নাটক ' জীবনের এক রূপকথা' ও ' দিনান্তে।