নিজস্ব প্রতিনিধি , কোচবিহার - নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যুতেও রাজনীতি! বাংলায় রাজনীতির হাল কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে,  তা আজ কোচবিহারবাসীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শাসক ও বিরোধী দল। এ যেন মরেও শান্তি নেই মৃতের। একেই তো গনধর্ষনের শিকার।তার উপর মৃত নির্যাতিতার পরিবার কোন দলে? তা নিয়ে তরজায় মাতলেন তৃণমূল-বিজেপি। যা নিয়ে  উত্তেজনা ছড়ালো কোচবিহারে।পরে অবশ্য শাসক দল হাইজ্যাক করে নিয়ে গেল তাদের।যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ বিজেপি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , যৌন নির্যাতনের পর মৃত খাপাইডাঙ্গার কিশোরীর পরিবার কোন দলের দখলে থাকবে তা নিয়েই তুমুল উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার এমজেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। এদিন মেডিক্যালে আসেন বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা। তার সঙ্গে যখন মৃতার বাবা সহ পরিবারের লোকজন কথা বলছিলেন তখনই অনুগামীদের নিয়ে মেডিক্যালে ঢোকেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। সেই সময় তারা রাহুল সিনহা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এক সময় তৃণমূল ও বিজেপি দু’জনই দু’পক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকে। মৃতার পরিবার কোন দলের পক্ষে থাকবে, তা নিয়ে মৃতার বাবাকে ধরে টানাটানি শুরু হয়। কঠোর পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দেহ বের করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এরপর মেডিক্যালের সামনে সুনীতি রোডে মৃতার বাবাকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে টানাটানি করে। টানাটানি মাঝে অসুস্থ হয়ে পরেন মেয়েটির বাবা। শেষ পর্যন্ত অভিজিৎ দে ভৌমিকের গাড়িতে করে মৃতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত , গত ১৮ জুলাই খাপাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালজানির বাসিন্দা ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।  স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে  ১০ দিন আগে অপহরণ করার পর দুদিন ধরে  আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। 

যৌন নির্যাতনের পর একটানা দশ দিন চিকিৎসার চললেও শেষ পর্যন্ত থমকে গেল ওই ছাত্রীর লড়াই। বুধবার সকালে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। এদিন জেলার এক পুলিশ আধিকার  জানান, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ১৪ বছরের নাবালিকা।