লাদাখের বিখ্যাত মনেস্ট্রি হেমিস গুম্ফা

মে ২৩, ২০২৩ রাত ০১:১৬ IST
646b952742e1a_Screenshot_2023-05-22-21-39-48-20_680d03679600f7af0b4c700c6b270fe7

অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ, সারমিন সুলতানা মন্ডল - তিব্বত নামটি শুনলেই পাহাড়ে ঘেরা শান্তিপূর্ণ একটি জায়গার কথা মাথায় আসে। এখানে দেখার মতো একাধিক পর্যটন কেন্দ্র আছে যা অনেক আকর্ষণীয় এবং বিখ্যাত। হেমিস মনেস্ট্রি তাদেরই মধ্যে একটি। তিব্বতিদের বৌদ্ধ মঠকে গুম্ফা বলা হয়। সিন্ধু নদের তীরে অবস্থিত এই হেমিস গুম্ফা ভারতের সবথেকে বড়ো গুম্ফা।

হেমিস মঠ হলো ভারতের লাদাখের হেমিসে অবস্থিত দ্রুকপা বংশের একটি হিমালয় বৌদ্ধ মঠ। লেহ থেকে এটি ৪৫ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি ১৬৭২ সালে লাদাখি রাজা সেঙ্গে নামগিয়ালের দ্বারা পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি তিব্বতের অন্যতম প্রধান ভ্রমণ কেন্দ্র।

পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি হেমিস গুম্ফা পুরনো ঐতিহ্য বহন করে, যা আসলে হেমিস গুম্ফা মেলা নামে পরিচিত। মেলার সাজসজ্জা বেশ অন্যরকম। এখানকার মেলা প্রাঙ্গণের মাঝে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। তার ওপর রাখা হয় একটি লাঠি বা পোল। তার চারপাশে রাখা হয় ছোট ছোট তিব্বতি নকশার টেবিল।

টেবিলগুলির ওপর রাখা থাকে পবিত্র জল, চাল, ময়দা আর মাখনের তৈরি তরমা এবং ধূপকাঠি। এই বিস্ময়কর মেলা দেখতে প্রচুর পর্যটকদের আগমন ঘটে। মেলায় আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় এক বিশেষ চা দিয়ে, যা ওখানকার ট্র্যাডিশন। তার সঙ্গে থাকে চমরী গাইয়ের দুধ দিয়ে তৈরি মাখন আর বার্লির রুটি, যা সম্পূর্ণ আলাদা একটি অভিজ্ঞতা।

এখানকার উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো রহস্যময় মুখোশ নৃত্য। লাদাখের মুখোশ নৃত্যগুলিকে সম্মিলিতভাবে চাম পারফরম্যান্স হিসাবে উল্লেখ করা হয়। চামস পারফরম্যান্স মূলত তান্ত্রিক ঐতিহ্যের একটি অংশ, শুধুমাত্র সেই সব গোম্পে সম্পাদিত হয় যারা তান্ত্রিক বজ্রযান শিক্ষা অনুসরণ করেন এবং সন্ন্যাসীরা তান্ত্রিক উপাসনা করেন।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষ এখানে আসেন। সত্যিই এরকম শান্তির পরিবেশে সময় কাটালে মন অনেক শান্ত অনুভব করে।

কিভাবে যাবেন ?

হাওড়া থেকে তিব্বতগামী ট্রেনের মাধ্যমে তিব্বতে পৌঁছাতে হবে। এরপর গাড়ির মাধ্যমে আপনি এখানে পৌঁছে যেতে পারেন।

ভিডিয়ো

Kitchen accessories online