নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া - লোকসভা নির্বাচনের আগে বার বার প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আর এর মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিজেপির বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি।

মঙ্গলবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় পোস্ট করেন "এবার বাঁকুড়া জেলার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বিষ্ণুপুরে"। ফেসবুকের এই পোস্ট ট্যাগ করা হয় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুজিত অগস্তিকে। অভিযোগ এরপরই সামাজিক মাধ্যমের ওই পোস্টের কমেন্টে পদবি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সুজিতের নাম করে বিষ্ণপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ হুঁশিয়ারি দেন, দম থাকলে করে দেখা।

এমনকি ওই পোস্টে নাকি সৌমিত্র খাঁ সুজিতের রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বলে অভিযোগ। এরপরেই এর পাল্টা সামাজিক মাধ্যমে সরব হন সুজিত অগস্তি। তিনি লেখেন "দম থাকলে পদবি নিয়ে লেখ। তারপর দেখাবো"। এদিকে বাঁকুড়ার পর বিষ্ণুপুরেও এভাবে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।

যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন,' এই পোস্ট আমি করিনি। আমার মোবাইল আমার পার্সোনাল সেক্রেটারির কাছে থাকে। তিনি এই পোস্ট করে থাকলে বেশ করেছেন। সব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অভিযোগ করছে।'

প্রসঙ্গত, গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলা বিজেপি কার্য্যালয়ে দলের নেতা কর্মীদের হাতে তালাবন্দী হয়েছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কার্য্যালয়ের মধ্যে বিক্ষুব্ধ বিজেপির নেতা কর্মীরা বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডলকে কলার ধরে হেনস্থা ও মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠে। সেই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতে  সামাজিক মাধ্যমে সামনে চলে এল বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।