অমৃতবাজার এক্সক্লুসিভ,স্নেহা কুন্ডু - ভিড়হীন এই কালাপাথর সৈকত নবদম্পতিদের অবকাশ যাপনের জন্য একটি নিখুঁত ভ্রমনক্ষেত্র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এই স্থানে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন সদ্যবিবাহিত দম্পতিরা। আন্দামানের হ্যাভলক দ্বীপের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর একটি সৈকত হলো কালাপাথর সমুদ্র সৈকত । এছাড়াও নিজের সঙ্গীর সঙ্গে জলকেলি অথবা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চান তবে চলে যেতে পারেন নীল দ্বীপ ও রাধানগর সৈকত।

কালাপাথর সৈকত এমনই একটি ছোট ও শান্তিপূর্ণ সমুদ্র সৈকত যেখানে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছে মতো অবসর সময় কাটাতে পারবেন। কালাপাথর সমুদ্র সৈকতকে বসন্তের সময় সবচেয়ে ভালোভাবে অন্বেষণ করা যায় এবং অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দেয়। আপনারা প্রাণবন্ত ঢেউ দেখার সময় সমুদ্র তটে বিশ্রাম উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন এই সৈকতে। যেহেতু সারা বছর ভিড় বেশি থাকে না, তাই এই সৈকতটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের একটি স্থান। যেখানে আশ্চর্যজনক সুন্দর প্রকৃতি ও ফুরফুরে বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করে আপনি মুক্তভাবে বেঁচে থাকার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

আপনি যদি সোনালি রোদে ভিজতে পছন্দ করেন তবে আন্দামানে ছুটি কাটানোর সময় সেরা সূর্যস্নানের অভিজ্ঞতার জন্য এই সৈকতে যেতে ভুলবেন না।

নীল দ্বীপ একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ যা আন্দামানের দক্ষিণে অবস্থিত। এই স্থানের কম অন্বেষণ করা সামুদ্রিক বৈচিত্র্য, সৈকত, প্রবাল প্রাচীর এবং মনোমুগ্ধকর সবুজের সঙ্গে আপনি এই দ্বীপের প্রেমে পড়ে যাবেন।

সাঁতার কাটা, স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং এবং প্যারাসেইলিং প্রভৃতি জলক্রিয়ার জন্য বিখ্যাত রাধানগর সৈকত। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সমুদ্র সৈকতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান এর।  স্থানীয়ভাবে সৈকত নং ৭ নামে পরিচিত, এটি হ্যাভলক দ্বীপের নিকটতম সমুদ্র সৈকত এবং আপনাকে এই স্থান সেরা সমুদ্র সৈকতের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

কিভাবে যাবেন ?
আকাশপথে বিমানে যাওয়া যায় আন্দামান।তাছাড়া জাহাজে অর্থাৎ জলপথে যাওয়া যায় আন্দামান কিন্তু সেটা সময় সাপেক্ষ।
তাছাড়া আপনি রাঙাত, বারাটাং দ্বীপ এবং দিগলিপুর থেকে কালাপাথর সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য সরকারী বা বেসরকারী বাসে চড়ে যেতে পারবেন। যদিও এটি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছানোর সবচেয়ে সস্তা উপায় তবে কিন্তু বাসের প্রাপ্যতা শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গা থেকে।