নিজস্ব প্রতিনিধি , মধ্যপ্রদেশ - মৃত্যুর দু'বছর পর বাড়ি ফিরে এলেন যুবক। সকলেই ভেবেছিলেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে মারা গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নিয়েছিলেন তার পরিজনরাও। এদিন কার্যত ভূত দেখার মতো করে চমকে উঠেছিলেন পরিবারের লোকজন।

জানা গেছে , ২০২১সালে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধারের কাদোদকলার বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সি কমলেশ পতিদার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কমলেশকে চিকিত্‍সার জন্য ভদোদদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন চিকিত্‍সাধীন থাকার পর হাসপাতাল জানায়, ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কমলেশের মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু যেহেতু করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তাই প্রোটোকল মেনে হাসপাতালের তরফে কমলেশের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়নি ।

হাসপাতাল প্রায় ২০-২৫ ফুট দূর থেকে পরিবারের সদস্যদের দেহ দেখিয়ে কমলেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় । পরিবার দেহ চিনতে বা নিশ্চিত করতে পারেনি। তার পরিবার তখন কেবল বিশ্বাস করেছিল যে কমলেশ মারা গিয়েছে । কমলেশের মৃত্যুর পর গোটা পরিবার স্বাভাবিক নিয়মেই শোকাহত ছিল । তার স্ত্রী বিধবার মতো জীবনযাপন শুরু করেন। ঘটনাক্রমে ১৫ এপ্রিল শনিবার কমলেশ ধারের সর্দারপুর তহসিলের বাডভেলি গ্রামে পৌঁছন । যেখানে তার মামা থাকেন ।

তাকে দেখে সকলে চমকে ওঠেন। পরে পরিবারের লোকজনকে সমস্ত কথা খুলে বলেন ওই যুবক।তিনি জানান, বরোদায় হাসপাতালে থাকার সময় আদৌ তিনি মারা যাননি, বরং সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পর জনা ছয়েক দুষ্কৃতী তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে নিজেদের জিম্মায়। একদিন অন্তর তাকে মাদকদ্রব্যের ইনজেকশন দেওয়া হতো। তাতেই ঝিমিয়ে থাকতেন তিনি।

এরপর শুক্রবার একটি গাড়িতে করে কমলেশকে নিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছিল ওই দুষ্কৃতীরা। গাড়িতে তাকে রেখেই রাস্তার ধারের একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়েছিল তারা। সেই সুযোগেই গাড়ি থেকে নেমে পরেন কমলেশ। রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি ইন্দোর-আমদাবাদ যাত্রীবাহী বাস দেখতে পেয়েই সেটিতে উঠে পরেন তিনি। আচ্ছন্ন অবস্থাতেই কোনও মতে সর্দারপুরে নামেন তিনি। সেখান থেকে স্থানীয়দের সাহায্যে এসে পৌঁছান বাদভেলিতে মামার বাড়িতে। ঘটনায় ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।