নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - ১০ ই এপ্রিল, চতুর্থ দফা ভোটে রক্তাক্ত হয় কোচবিহারের শীতলকুচির জোরপাটকির ১২৬ ভোটকেন্দ্র। নির্বাচনের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয় সিআইডি তদন্ত। তলব করা হয় কেন্দ্র বাহিনীর ৬ জওয়ান, মহকুমা শাসক, এএসআই ও আইসিকে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ান ভবানী ভবনে হাজিরা দেননি। রবিবার শীতলকুচি গুলি কাণ্ডের তদন্ত সূত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিআইডির রিপোর্টে‌।

ভোট চতুর্থীতে বুথের বাইরে অশান্তি সৃষ্টি হয়, গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মৃত্যু হয় ৪ জনের। এই পর্যন্ত সকলের জানা। কিন্তু সিআইডি রিপোর্ট বলছে, দরজা ভেদ করে বুথের ভেতরে থাকা ব্ল্যাকবোর্ডেও লাগে গুলি। শুধুমাত্র বাইরে গন্ডগোল হলে, বুথের ভিতরে কিভাবে গুলি গেল, তা খতিয়ে দেখতে সোমবার ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিম যাবেন ঘটনাস্থলে। তিন সদস্যের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি কি ধরনের চলেছিল তা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ঘটনার ফের পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৭ ই মে, সিআইডির ডিআইজি কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোরপাটকি ১২৬ নাম্বার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সঙ্গে কথা বলেন সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করার পাশাপাশি গুলিকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করা হয় ১২৬ নম্বর ভোটকেন্দ্রে। সিআইডি তথ্যের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও শীতলকুচি ঘটনার তদন্তে, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।