নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা - ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত গোটা পৃথিবীজুড়ে থাবা বসিয়েছিল মারণ ভাইরাস কোভিড। এরমধ্যে নতুন করে মানুষের জীবনে আতঙ্ক তৈরি করেছে ডেঙ্গু। তবে চলতি বছরে যাদের ডেঙ্গু হচ্ছে তারা যদি আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকেন , সেক্ষেত্রে তাদের জন্য হাড়কাঁপানো কথা শোনালো চিকিৎসকরা। এই ক্ষেত্রে রোগীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করছেন চিকিৎসক এবং মাইক্রোবায়োলজিস্টরা। নতুন এই আতঙ্কের নাম তাই কোভিডেঙ্গু।
চিকিৎসকদের দাবি , প্রথমে যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শ্বাসযন্ত্র এবং হৃদযন্ত্র তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এরমধ্যে আবার চলতি বছরেও যদি তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় তাহলে শ্বাসযন্ত্র এবং হৃদযন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। কারন ডেঙ্গুতে মৃত ৮০ শতাংশ মানুষেরই রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড হয়েছিল। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত যে সমস্ত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেকেরই তীব্র শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকদের মতে , প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে ডেঙ্গুর লক্ষণে। নতুন সেই লক্ষণগুলি হলো -
১) তীব্র জ্বর, গা-হাত-পা ব্যাথা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ডাইরিয়া উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
২) প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৩) তীব্র শ্বাসকষ্ট।
৪) বুকে ব্যাথা।
তাই এইধরনের উপসর্গ দেখা দিলে কোনোরকম গাফিলতি করা যাবেনা। তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও জ্বর হলে কোনোরকম অ্যান্টিবায়োটিক বা পেইনকিলার খাওয়া চলবে না। দুদিনের বেশি জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি এবং জ্বরের সময়কাল যদি পাঁচদিন হয়ে যায় তবে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।