নিজস্ব প্রতিনিধি , বীরভূম - প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পরে খোঁজ মিলল ‘কোটিপতি কনস্টেবল’ মনোজিৎ বাগীশের বান্ধবীর। ওই বান্ধবী বুলা কর্মকার আসলে বাড়ির পরিচারিকা। তার অ্যাকাউন্টেই ২১ লক্ষ টাকা রেখেছিল মনোজিৎ। পাশাপাশি তাকে ১২ লক্ষ টাকা দামের একটি গাড়িও উপহার দেয় সে। জেরায় স্বীকার করেছে বুলা। তার বয়ান নথিভূক্ত করা হয়েছে।
সূত্রের খবর , বুলা কর্মকার জেরায় জানিয়েছেন মনোজিৎ এর বাড়িতে কাজ করা কালিনই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখনই তাঁর নামে একটি গ্রামীণ ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এরপর প্রায় ২১ লক্ষ টাকা জমা করেন। তবে এই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। অন্য একজনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ালে সেই মহিলার মায়ের অ্যাকাউন্টে টাকাটা স্থানান্তরিত করে নেন মনোজিৎ। দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন 'বান্ধবী' বুলা কর্মকার।
বুলা কর্মকার আরও দাবি করেন , তার নামে গাড়ি কেনা হলেও তা কখনও ব্যবহার করেননি। বরং বিয়ের পর মনোজিৎ তার স্ত্রীর নামে মালিকানার বদল করেন। তবে এখনও পর্যন্ত ৭৬ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট এবং ১০ লক্ষ টাকা জীবনবিমার খোঁজ পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। এছাড়াও তার বারুইপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়ায় একটি বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। কিন্তু কনস্টেবলের চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন মনোজিৎ তা খতিয়ে দেখছে দূর্নীতি দমন শাখা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করতেন ওই কনস্টেবল।
প্রসঙ্গত , ১৯৯৮ সালে পুলিশের চাকরি পান মনোজিৎ বাগীশ। তারপর থেকেই তার সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে উঠছিলো। তা নজর এড়ায় তদন্তকারী অফিসারদের।গ্রেফতার হবার পর থেকেই নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তে। এরপর শুক্রবার মনোজিৎ বাগীশকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে বিচারক তাকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরমধ্যেই জেরা করা হবে তাকে।