নিজস্ব প্রতিনিধি , মুর্শিদাবাদ - ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সামনে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদঅধীর রঞ্জন চৌধুরী।শুক্রবার মুর্শিদাবাদে ভাগীরথী মিল্ক কোঅপারেটিভ ইউনিয়নে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান তিনি। সেখান যাওয়ার আগে একটি পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেই পদযাত্রায় বাধা দেওয়ায় এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

সূত্রের খবর , মুর্শিদাবাদ জেলার দুগ্ধ পেশার সঙ্গে যুক্ত ভাগীরথী কো অপারেটিভ মিল্ক প্রোটেকশন ইউনিয়ন।কিন্তু বর্তমানে এখানে ব্যবস্থাগত কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভাগীরথী মিল্ক কোঅপারেটিভ ইউনিয়নের যাতে কৃষকদের কাছ থেকে কিভাবে দুধ কেনা নিয়ে এই সমস্যা। এই নিয়ে এদিন এই স্মারকলিপি প্রদান করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুর্শিদাবাদ জেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির ব্যানারে।

এই স্মারকলিপি প্রদানের আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বহরমপুরের পঞ্চানন তলা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই বহরমপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই কারণে ভাগীরথী মিল্ক কো-অপারেটিভ ইউনিয়নে আসার আগেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল আটকানোর জন্য ব্যাড়িকেটিং করে জেলা পুলিশ।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে এবং তা হাতাহাতিতে গড়ায়। যার কারণে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ঘটনায় উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় এবং রণক্ষেত্রের চেহারা নয় গোটা এলাকা।

এবিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন,“আইন কানুন কিছু জানেনা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। আগে এখানের আইন জানুন তারপরতো বাধা দেবেন। কিছু জানেন না শুধু সরকারের চামচাগিরি করে টাকা খেতে জানেন। এখানের ডিএম এই পদে বসার যোগ্য নয়। জনেই তো না আইন কি! আর এখানে পুলিশের মস্তানি শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা মুর্শিদাবাদ জেলার মিল্ক ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত তাদের এটা সম্পত্তি। এই গেট পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমাদের গ্রেফতার করুন, নাহলে গুলি চালান।”