নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া – করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীদের অ-সতর্কতায় নানা ক্ষেত্রে ঘটছে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা। কখনও গ্রাহকরা পাচ্ছেন ভিন্ন ডোজের টিকা, কখনও তাঁদের এক সঙ্গে দুটি ডোজ দেওয়ার ঘটনাও উঠে আসছে। এবার এমনই ঘটনার কথা জানা গেলো বাকুড়ার বড়জোড়া ব্লকে।
শুক্রবার বড়জোড়া ব্লকের স্থানীয় পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকাকরন কর্মসূচি চলছিল। ওই কেন্দ্রে টিকা নিতে যান রাজ মাধবপুর গ্রামের গৃহবধূ মন্দিরা পাল। অভিযোগ মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে ওই মহিলাকে কোভিশিল্ডের পরপর দুটি ডোজ দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মী। একইদিনে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পর সারাদিন সুস্থ থাকলেও রাত্রে হঠাৎই ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে । শনিবার ভোর ৫ টা নাগাদ তাঁকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় গোটা পরিবার শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার রাজমাধবপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের গৃহবধূ মন্দিরা পাল স্থানীয় আশাকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের মায়েদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে শুক্রবার মন্দিরা পাল নিজের ৯ মাসের শিশুকে নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর আধার কার্ড দেখে আর পাঁচ জন মায়ের মতোই কোউইন অ্যাপে তথ্য এন্ট্রি করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর তাঁর বাম হাতে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেন এক স্বাস্থ্য কর্মী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরা পালকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ দশ মিনিটের ব্যবধানে ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মী আবার তাঁর বাম হাতে টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশান দেন।
মন্দিরা পাল জানিয়েছেন, টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়স অন্যান্যদের মুখে তিনি শুনেছিলেন টিকার দুটি ইঞ্জেকশান নিতে হবে। কিন্তু তা যে নির্দিষ্ট দিন অন্তর নিতে হবে তা তিনি জানতেন না। ফলে টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশান দেওয়ার সময় কোনও প্রতিবাদ জানাননি তিনি। পরে অন্যান্যদের একটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়েছে শুনে তাঁকে কেন দুটি ইঞ্জেকশান দেওয়া হল সেই বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে জানতে চান মন্দিরা পাল। অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে এই কথা জানতে চাওয়ায় তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মন্দিরা দেবীকে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে বসিয়ে রাখা হয় । পরে ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্দিরা পাল। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে তাঁকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসকদের কথা মত তিনি এখন সুস্থ আছেন।
এই প্রসঙ্গে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ এস এন প্রসাদ জানান, “প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার পর মন্দিরা পাল একই জায়গায় বসে থাকেন তাই কর্তব্যরত এএনএম নার্স তাকে আবার টিকার একটি ডোজ দিয়ে ফেলেন । তবে বিষয়টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার জানতে পেরে দ্রুত পদক্ষেপ করেন। মন্দিরাকে অবজারভেশন এর জন্য প্রায় দুঘন্টা তাঁকে হাসপাতালে বসিয়ে রাখেন এবং তার শারীরিক চিকিৎসা করার পর কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি দেখে তাকে ছেড়ে দেন। কিভাবে এই ভুল হলো তা আমরা তদন্ত করে দেখছি । এই রিপোর্ট আমরা সিএমওএইচ কে জানাচ্ছি তিনিই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন”।
অন্যদিকে বড়জোড়া বিধানসভার বিধায়ক অলোক মুখার্জী এই প্রসঙ্গে বলেন, “ভোর চারটার সময় যখন রোগীর পরিবার ফোন করে তার অসুস্থতার কথা আমাকে জানান তৎক্ষণাৎ আমি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে রোগীকে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দিই। উনি এখন সুস্থ আছেন, ভালো আছেন । যারা গাফিলতি করেছে মমতা দিদি সরকার তাদের রেয়াত করবে না। আর এই ধরনের ভুল যাতে না হয় তাই আমরা বিভিন্ন জায়গায় কড়া নির্দেশ পাঠাচ্ছি”।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন কোনও জবাবদিহি করতে বলা হলো না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি । একইসঙ্গে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বি এম ও এইচ অফিসের সামনে বিক্ষোভে করে বিজেপি।
ক্রিজে আছেন রবীন্দ্র জাডেজা ও মহম্মদ শামি
শুক্রবার থেকে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ শুরু হয়েছে
ট্রাক থেকে বাজেয়াপ্ত কয়েক হাজার ফেন্সিডিলের বোতল
রথযাত্রার শুভদিনে শোরুম উদ্বোধন
কোনো ব্যাবসায়ী প্লাস্টিক ব্যাবহার করলেই জরিমানা
নীলকন্ঠ চট্টোপাধ্যায় পরিবারে প্রতি বছর রীতি মেনে রথের দিন দেবীপ্রতিমার কাঠামোতে প্রথম মাটি লাগানো হয়
গত দু'বছর পর রথে উপচে পরা ভীড়
পলাতক গুদামের মালিক
কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে শুরু জাকজমকপূর্ন ভাবে পালিত রথযাত্রা
প্রখ্যাত চিকিৎসক ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী স্মরণে ১লা জুলাই ভারতে জাতীয় চিকিৎসক দিবস উদযাপন করা হয়
বেলঘড়িয়া রথতলার রথযাত্রায় সমাগম হাজার হাজার মানুষের
কোথা থেকে এলো এত উট , চিন্তার ভাঁজ পুলিশের কপালে
মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু কিশোরের
আসানসোলে ইসকনের রথ উদ্বোধন করলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা
বলদেবের চাকা লাগানো রথ'ই বছরে ইসকনের বিশেষ আকর্ষণ