নিজস্ব প্রতিনিধি , পশ্চিম বর্ধমান - অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখোনোর সময় রাতের অন্ধকারে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়। এই নিয়ে একমাসে চারবার অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

শুক্রবার শয়ে শয়ে ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এমনকি পথ অবরোধ ও করে। এই বিক্ষোভ সারা দিন রাত চলার পর হঠাৎ রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎই ক্যাম্পাসে লাইট অফ করে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ।

এই পুলিশের লাঠিতে আহত  হয় দুর্গাপুর গভর্মেন্ট কলেজের ছাত্র বিপুল মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, 'রাতে হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লাইট অফ করে পুলিশ বেধড়ক মারধর করে আমাদের।কিন্তু পুলিশ যতই মারুক আমাদেরএই বিক্ষোভ থামবেনা'।

যদিও ছাত্র বিপুল মন্ডল এই অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার সকালে।বিপুল মন্ডল জানিয়েছেন,'পুলিশ কোনো লাঠিচার্জ করে নি। পুলিশ আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে।পড়ে গিয়ে আমার হাত কেটে গেছে।বরং পুলিশ আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে'। শুক্রবার যে বক্তব্য রেখেছিল বিপুল তার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।

উল্লেখ্য , অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আর তাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা।তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে পড়াশোনা করে এসেছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি তাদের অনলাইনে পরীক্ষা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করে অফলাইনে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর পরই আন্দোলনে ফেটে পরে সমস্ত কলেজের পড়ুয়ারা। শুক্রবার দিনভর এক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এমনকি অজয় পন্ডিত নামে দুর্গাপুরের এক আইনি ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মান চারতলা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালায়।